গণশুনানিতে ১টি ইনস্যুরেন্স কোম্পানীর ও জেলার ১৫টি সরকারি দপ্তর বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি ও হয়রানির বিষয়ে সেবা প্রার্থীরা সরাসরি উপস্থাপন করলে ৩৯টি অভিযোগে মুখোমুখি হয়ে সেগুলো সমাধাণ করে দেন বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা। জেলা সদরে অবস্থিত যে কোন সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সেবা পেতে ঘুষ, দুর্নীতি বা হয়রানীর শিকার হয়েছে এমন অভিযোগের অনেকগুলো শুনানি শেষে তাৎক্ষণিক সমাধান করা হয়। এছাড়া অন্যান্য অভিযোগ স্বল্প সময়ের মধ্যে সমাধান করে তার প্রতিবেদন কমিশন বরাবর পাঠানোর নির্দেশনা প্রদান করেন প্রধান অতিথি।
এসময় অতিথি বলেন এই দেশের মালিক জনগণ যা সংবিধানের মাধ্যমে এই মালিকানা প্রদান করা হয়েছে। আর সেই মালিকরা সরকারী অফিসে গিয়ে সেবা পাবেন না তা হতে পারে না। মালিক তার দপ্তরে সেবা নিতে গেলে হয়রানীর শিকার হবেন এটা মেনে নেওয়া যায় না। প্রতিটি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা হলো জনগণের সেবক। তাই জেগে ঘুমালে সেই ঘুম ভাঙ্গানো কঠিন। আমরা চাকরীজীবীরা যদি যে যার স্থান থেকে দুর্নীতিকে না বলি প্রতিরোধ না করি তাহলে এই ধরণের শত শত দুদকের পক্ষে দেশ থেকে দুর্নীতি নামক ভাইরাসকে দূর করা সম্ভব নয়। তাই মৃত্যুর কথা ভেবে, একজন অসহায় মানুষের জন্য ভালো কিছু করে পরের স্থায়ী জীবনের জন্য নেকী অর্জনের কথা ভেবে, সর্বোপরি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে এবং আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুস্থ্য ও সুন্দর একটি বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে আজ থেকেই দুর্নীতি বিরুদ্ধে সবাইকে যুদ্ধ ঘোষণা করার প্রতি আহŸান জানান প্রধান অতিথি।