আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১১ জুলাই জেলার ধামইরহাট উপজেলার লক্ষনপাড়া গ্রামের তরিকুল ইসলামের মেয়ে ফাতেমা একই উপজেলার শংকরপুর চকনোয়াই গ্রামের মৃত কফিল উদ্দীনের ছেলে মতিবুল ইসলামের (৫০) বিরুদ্ধে বাড়ির শয়ন ঘরে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ট্রাইব্যুনালে সাত জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে চলতি বছরের ২৭ আগস্ট আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় সকল আসামীকে খালাস প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, মামলার অপর আসামী শাহিনুর আলম মামলা চলাকালিন ফাতেমাকে বিয়ে করে খালাস প্রাপ্ত হন। শারীরিক, আর্থিক ও মানসিক ক্ষতি হয়েছে দাবী করে ২০২৩ সালের ২৯ নভেম্বর ধর্ষণের দাবী করা নারী ফাতেমার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ১৭ ধারায় অভিযোগ আনয়ন করেন ভুক্তভোগী মতিবুল ইসলাম। ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার অভিযোগটি আমলে নিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করা উক্ত নারীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন। বুধবার ফাতেমা আদালতে জামিন শুনানীর প্রার্থনা করলে আদালত উভয় পক্ষের শুনানি অন্তে জামিনের দরখাস্ত না-মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।