শনিবার (২০ জানুয়ারি) জেলার সদর, মহাদেবপুর, মান্দা ও পতœীতলায় উপজেলায় পৃথক এলাকায় দিনব্যাপী মজুদবিরোধী অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
মিডিয়া সেলে বলা হয়, ধান-চালের অবৈধ মজুদ খুঁজতে দুপুর থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত জেলার সদর, মহাদেবপুর, মান্দা ও পতœীতলায় উপজেলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন মজুদবিরোধী অভিযান চালায়।
অভিযানে নির্ধারিত সীমার চেয়ে অতিরিক্ত ধান-চাল মজুদ রাখায় শহরের আনন্দনগর মহল্লার আর এম রাইস মিল মালিক রফিকুল ইসলাম রফিককে এক লাখ টাকা জরিমানা ও তিনটি গোডাউন সিলগালা করা হয়। তছিরন অটোমেটিক রাইস মিল মালিককে এক লাখ টাকা, মেসার্স এম এম অটো রাইস মিল মালিককে ৫০ হাজার টাকা, মফিজ উদ্দিন অটোমেটিক রাইস মিল মালিককে ৫০ হাজার টাকা, মেসার্স জায়েদা ট্রেডার্স মালিককে এক লাখ টাকা এবং মেসার্স সুফিয়া অটোমেটিক নাইস মিল মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মহাদেবপুর উপজেলার নাহার আরমান অটোমেটিক রাইস মিল মালিককে ৩০ হাজার টাকা, শাপলা অটোমেটিক রাইস মিল মালিককে ২০ হাজার টাকা ও দাদা অটোমেটিক রাইস মিল মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও জাহিদ অটোমেটিক রাইস মিল মালিকে ও মক্কা মদিনা অটোমেটিক রাইস মিল মালিকে জরিমানা করা হয়।
মান্দা উপজেলার সাবাই হাট এলাকায় অবৈধভাবে ধান মজুদ করায় এবং লাইসেন্স না থাকায় ফয়জুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা ও সুমন কুমার নামে আরও এক ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পতœীতলা উপজেলায় লাইসেন্স ছাড়া ধান মজুদের দায়ে আরও তিন ধান ব্যবসায়ীকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নওগাঁ জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা জানান, অবৈধভাবে মজুদ করা ধান-চাল সঠিকভাবে খোলাবাজারে বিক্রি নিশ্চিত করতে সহকারী কমিশনার (ভ‚মি), কৃষি স¤প্রসারণ কর্মকর্তা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এবং একজন উপ পরিদর্শকের (এসআই) সমন্বয়ে টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তারা বিষয়টি তদারকি করবেন। ধান-চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে মজুদবিরোধী এমন অভিযান চলবে।