জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে- গত বছর জেলায় ১৯ হাজার ২৮৫ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছিল। যা থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার ৭৯৩ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়েছিল। চলতি বছরে জেলায় ১৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ করা হবে। যা থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ২১৫ মেট্রিক টন। গত বছর ৪ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমি থেকে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছিল ৫৭ হাজার ২৫৭ মেট্রিক টন। এ বছরে পেঁয়াজের আবাদ ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৮৯০ হেক্টর। যা থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৩ হাজার ৫৯০ মেট্রিক টন। এছাড়া গত বছর ৮২০ হেক্টর জমি থেকে রসুনের উৎপাদন হয়েছিল ৭ হাজার ৬২৬ মেট্রিক টন। এ বছর রসুনের আবাদের পরিমাণ ৭৮০ হেক্টর ধরা হয়েছে। যা থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ২০ মেট্রিক টন।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে অতিবৃষ্টি হয়। এ কারণে আগাম জাতের আলু ও পেয়াজ রোপনে কিছুটা বিলম্ব হওয়ায় বাজারে আসতে দেরি হচ্ছে। এছাড়া মৌসুমে শেষ সময় আলু ও পেঁয়াজ রোপন করা হচ্ছে। এ কারণে বেড়েছে এ দুই পণ্যের দাম। গত বছর চাষিরা আলুর আবাদ কমিয়ে সরিষার আবাদ করেছিল। আলুর আবাদ কম হওয়ায় এবার দাম বেশি হয়েছে।
ক্রেতা রেজাউল করিম বলেন- প্রতিদিনই বাড়ছে কোন না কোন পন্যের দাম। একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। বাড়তি দামে আলু ও পেঁয়াজ কিনতে সাধারণ ক্রেতাদের হিমসিম খেতে হচ্ছে। এতে করে নাভিশ্বাস ঠেকছে। বাজার নিয়ন্ত্রনে নিয়মিত মনিটরিংয়ের দাবী জানানো হয়েছে।
সবজি ব্যবসায়ি রাজু আহমেদ বলেন- বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে কেজিতে ১০-১৫ টাকা কমে সবধরণের সবজি ৩০-৬০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। আগামীতে আরো দাম কমলে ক্রেতারাও কিনে স্বস্থিত পাবে।
আলু ব্যবসায়ি আবু হাসেম বলেন- বৃষ্টির কারণে নতুন পাতা পেঁয়াজ ও আলু বাজারে আসতে দেরি হচ্ছে। দেশি আলু ৬৮-৭০ টাকা ও হলেন্ডার আলু ৫৫-৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দাম বেড়ে দেশি পেয়াজ কেজিতে ১২০-১২৫ টাকা ও আমদানিকৃত পেয়াজ ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আমদানিকৃত পেয়াজের দাম যে হারে বেড়েছে তাতে দেশি পেঁয়াজের দাম সেভাবে বাড়েনি।
নওগাঁ কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো: আমিনুল ইসলাম বলেন- গত বছর আলু ও পেঁয়াজের উৎপাদন কম হয়। এ কারণে মৌসুমের শেষ সময় এসে দাম বেড়েছে। তবে চাষাবাদ বাড়াতে কৃষকদের উদ্বৃদ্ধ করা হচ্ছে। এছাড়া বাজার নিয়ন্ত্রনে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে।