নওগাঁয় শিক্ষকের অন্তর- দ্বন্দ্বে  শিক্ষা ব্যাবস্থার মান ভেঙ্গে পড়েছে

0 ৩৬১
নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁর মান্দা উপজেলার ১১ নম্বর  কালিকাপুর ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামের ১৯১১খ্রিস্টাব্দে ৬৭ কালিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়ে পরিচালিত হয়ে আসছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবসরে যাবার পর,প্রধান শিক্ষক আসার পর সহকারী শিক্ষক ও স্কুলের পার্শবর্তী এলাকার মানুষের সাথে সামঞ্জস্য করতে না পারায় শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম। দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষকদের মধ্যে অসামঞ্জস্য দূর করে সামঞ্জস্য বজায় না রাখতে পারলে প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষা ব্যবস্থার চরম ক্ষতি হবে।
যা সাধারণ শিক্ষার্থীর জীবনে  প্রভাব পড়বে ভেবে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের দাবী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে এই বিরোধ নিষ্পত্তি করে শিক্ষার শ্রেষ্ঠ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জরা শীর্ণ একটি ভাঙ্গাচুরা অপরিচ্ছন্নতা ঘরে  জাতীয় পতাকা ফেলে রাখা হয়েছে, এবং বিদ্যালয়ে যতেষ্ট পরিমাণ রুম সহ বিদ্যালয়ের জায়গা থাকা স্তেহেওয়ে বিদ্যালয়ে নেয়, জাতীয় পতাকা , বন্ধবন্দু গ্যালারী, বই পুস্তক সহ অনান্য জিনিস পত্র রাখার নেয় কোন জায়গা।
স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা, নজরুল ইসলাম সহ আরো অনেকে জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের খিয়াল খুশির কারনে এই বিদ্যালয়ের জাতীয় পতাকার প্রতি অবম্মানা ও  অসম্মান, বঙ্গবন্ধু গ্যালারি,  বই পুস্তক অ-পদর্শী এবং রাষ্ট্রীয় স্লোগান বিকৃতি, প্রতিষ্ঠানের জিনিস-পত্র অনিয়ম করে  বিক্রি সহ বিভিন্ন অনিয়ম দেখা যায়।
এ ব্যাপারে কালিনগর সরকারী প্রার্থমিক  বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ফজলে রাব্বি খোদা জানান, আমার বিদ্যালয়ে ১১০ জন শিক্ষার্থী আছে,প্রধান  শিক্ষক না থাকা আমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি। এছাড়াও কোন পিয়ন  না থাকায প্রায়ই টাকা দিয়ে বিদ্যালয় পরিষ্কার করে নিতে হয়। ৪ জন শিক্ষক থাকলেও ১ জন শিক্ষক প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কাজে অনিয়মিত  থাকে যার কারনে শিক্ষা ব্যাবস্হা কিছুটা ক্ষতি হচ্ছে বলে স্বীকার করেন।
এছাড়াও স্লিপের টাকা নিয়ে  কমিটির সাথে ভূল বুঝাবুঝি কারনে  দু’বছর যাবৎ উত্তোলন করতে পারিনি। ফলে পানির পাম্প অকেজো হলেও আজও ঠিক করতে পারে নাই সবগুলো  স্লিপের টাকা পেলে ঠিক করা হবে। ডাস্টবিনে জাতীয় পতাকা কেন প্রশ্নের জবাবে  তিনি জানান, কে বা কারা ষড়যন্ত্র করে এমনটি কাজ করেছে, আমি সকল বিষয়ে উদ্ধতম কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ আব্দুল মতিন জানান, আমি অসুস্থতার থাকার কারনে ঠিকমতো  বিদ্যালয়ে যেতেপারিনা, বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক ও স্কুলের পার্শবর্তী এলাকার মানুষের সাথে সামঞ্জস্য করতে না পারায় শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে।
এব্যাপারে মান্দা উপজেলা প্রার্থমিক শিক্ষা অফিসার আবুল বাসার জানান, কালিনগর প্রার্থমিক  বিদ্যালয়ের এমন একটি ঘটনা শুনছি বিষয়টি জরুরি ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.