হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়- নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল হলেও এর কার্যক্রম চলে ১০০ বেডের এবং জনবল রয়েছে ১০০ বেডের। এখানে হাসপাতালের পঞ্চম তলায় শিশু ওয়ার্ডে বেডের সংখ্যা ১২ টি হলেও ভর্তি রয়েছে ৫০ জন। ষষ্ঠ তলায় মেডিসিন নারী ওয়ার্ডে ২৬ টি বেডের বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছে ৬৬ জন এবং সপ্তাম তলায় পুরষ ওয়ার্ডে ২৫ বেডের জায়গায় ৬৪ জন। হাসপাতালের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারপরও বেড সংকুলান না হওয়ায় অনেকে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছে রোগীদের। শীতজনিত ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ২৩০ জন রোগী। হাসপাতালে হঠাৎ রোগীর সংখ্যা বাড়ায় চিকিৎসক ও নার্সদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
শীতজনিত বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। প্রতিদিনই ১৫-২০ নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে। এছাড়া আউটডোরে শীতজনিত রোগে প্রতিদিনই ১০০-১৫০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। হাসপাতাল থেকে অন্যান্য ঔষধ সরবরাহ করা হলেও স্যালাইনের স্বল্পতা রয়েছে। এ কারণে রোগীর স্বজনদের বাহির থেকে কিনতে হচ্ছে। বাহিরে ঔষধের দোকানে গত ৩-৪ মাস থেকে কলেরা স্যালাইন সংকট রয়েছে। যদিও কোথায় কলেরা স্যালাই পাওয়া যায় দাম ২৫০-৩০০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তবে নরমাল স্যালাইন সচরাচর সব দোকানেই পাওয়া যাচ্ছে।
ঔষদের দোকানদারের সাথে কথা বলে জানা যায়- গত ৩-৪ মাস থেকে কলেরা স্যালাইন পাওয়া যাচ্ছে না। চাহিদা পাঠালেও কোম্পানিগুলো আর দিচ্ছে না। আবার কিছু কোম্পানি স্যালাইনের সাথে প্যাকেজ হিসেবে অন্য ঔষধ কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। যার কারণে অনেকেই কলেরা স্যালাইন কিনতে আগ্রহী না। যা কোম্পানীর সিন্ডিকেট বলে মনে করছেন দোকানীরা।
শহরের সুলতানপুর মহল্লার বাসীন্দা মনোয়ারা বেগম বলেন- তার দুই বছরের বাচ্চা হঠাৎ করে বিকেলে বমি করে। পরে সন্ধ্যায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর কয়েকবার পাতলা পায়খানা করে। কিছু ঔষধ হাসপাতাল থেকে পাওয়া গেছে। তবে স্যালাইনের স্বল্পতা থাকায় বাহির থেকে কিনতে হয়েছে।
নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জাহিদ নজরুল চৌধূরী বলেন- শীতজনিত কারণে হাসপাতালে স্বাভাবিকের তুলনায় রোগীর সংখ্যা কিছুটা বাড়ছে। রোগীদের অন্যান্য ঔষধ সরবরাহ করা হলেও স্যালাইনের কিছুটা স্বল্পতা রয়েছে। শীতের গরম পোশাক পরিধান করা সহ ও ঠান্ডা খাবার না খাওয়ার পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। বগুড়া থেকে দ্রুতস ঔষধ সরবরাহ করা হবে বলে জানান তিনি।