নাটোরের উত্তরা গণভবন সহ দর্শনীয় স্থানগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড়

0 ১৪৩

নাটোর প্রতিনিধি: দেশের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রর মত ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে নাটোরের উত্তরা গণভবন সহ দর্শনীয় স্থানগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড়। প্রাত্যহিক জীবনের ব্যাস্ততা এড়িয়ে জীবনের একঘেঁয়েমি কাটাতে পেরে আনন্দিত সকলেই। জেলা ওজেলার বাহিরের বিভিন্ন স্থান থেকেও ছুটে আসছে নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর সহ সব বয়সের মানুষ। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিবার পরিজন নিয়ে দর্শনীয় স্থানগুলোতে ছুটি কাটাতে পেরে আনন্দিত সকলেই।

নাটোর শহরের মাঝে রয়েছে রাণী ভবানীর ঐতিহাসিক রাজ প্রাসাদ, দিঘাপতিয়া উত্তরা গনভবন (দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি), ডিসি পার্ক ও শিশু পার্কসহ বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র। প্রতি বছর ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে জেলার ও জেলার বাহিরে থেকে ছুটে আসে হাজার হাজার নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর সহ সব বয়সের মানুষ। নাটোর রাজাবাড়ি আর উত্তরা গনভবন ও এর স্থাপত্য শৈলী, অপার সৌর্ন্দয, বিভিন্ন ধরণের ভাস্কর্য, সাজানো গোছানো বাগান, কুমার প্যালেস, মিনি চিড়য়িাখানা, যাদুঘর, রাণী মহলের পাশাপাশি ডিসি পার্ক ও শিশু পার্কের মনোরম পরিবেশসহ সব কিছু আকৃষ্ট করছে দর্শনার্থীদের।

দর্শনার্থীরা জানান, তাদের কেউ ঢাকায় চাকুরী, কেউ বা পড়াশুনা করার জন্য বাইরে থাকেন। এই ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসে কেউ পরিবার পরিজন বা বাবা-মা’র সাথে, আবার কেউ বন্ধু-বান্ধবের সাথে ঈদের দিনে উত্তরা গনভবন,রাণী ভবানীর রাজবাড়ী,ডিসি পার্ক,শিশু পার্ক সহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলো বেড়াতে পেরে খুবই আনন্দিত তারা। এক মাস রোজা রাখার পর ঈদের দিনে পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে পেরে তাদের খুব ভালো কাটে। এবার বেশ গরম থাকলেও নির্জন পরিবেশে বেড়াতে এসে খুব ভালো লাগছে তাদের বলে জানান,দর্শনার্থীরা।

শিশু দর্শনার্থীরা জানায়,ঈদের আনন্দে আব্বা আম্মুদের সাথে বেড়াতে পেরে তাদেরও খুব ভালো লেগেছে। তারা উত্তরা গণভন, নাটোর রাজবাড়ি, ডিসি পার্ক ও শিশু পার্কে বেড়িয়েছে। বেশ ভালো লেগেছে।

রাকিব হাসান, সোহেলী খাতুন সহ দর্শনার্থী জানান, সারা বছরের নাগরিক জীবনের ব্যাস্ততা কাটাতে বছরের এই দিনটিতে পরিবার পরিজন ও বাচ্চাদের নিয়ে নাটোরের এই বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে বেড়াতে এসেছেন। এতে উত্তরা গণভবন, অর্ধবঙ্গেশ্বরী রাণী ভবানীর রাজবাড়ির ইতিহাস ঐতিহ্য জানার সাথে সাথে শিশুদের মেধা বিকাশের সাথে সাথে বিনোদন হচ্ছে। তারাও বেশ আনন্দিত।

দর্শনার্থী মাসুদ রানা, জেসমিন আখতার জানান, তারা জেলার বাহিরে থেকে নাটোরের দর্শনীয় স্থানগুলোতে ঘুরতে এসছেন। এসব বিনোদন কেন্দ্রে নারী-পুরুষ ও শিশু দর্শনার্থীদের অনেক ভীড়। কিন্তু কোথাও কোন পুলিশ বা প্রশাসনের লোকজন তারা দেখেননি। এছাড়া বাচ্চাদের জন্য তেমন কোন সুস্থ পরিবেশ পেলেন না।

এ ব্যাপারে উত্তরা গণভবনের টিকিট পরিদর্শক নয়ন কুন্ডু জানান, এই ঈদে উৎসব মুখর হয়ে ওঠে এই উত্তরা গণভবন। এখানে ঈদের প্রথম দিন থেকে লাগাতার সাত দিন দর্শনার্থীরা আসে ইতিহাস ঐতিহ্য জানার জন্য আসে এবং আনন্দ উপভোগ করে। এখানে প্রতিদিন ব্যাপক টিকিট বিক্রি হয় যে অর্থ রাজস্ব হিসেবে সরকারী কোষাগারে জমা হয়। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য সকল ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.