
পরে সেখানে আয়োজন করা হয় এক কোরান খানি,আলোচনা সভা ও মিলাদ মহাফিলের। প্রতিষ্ঠানের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আনিসুল আজমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল, লালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী, গোপালপুর পৌরসভার মেয়র রোকসানা লীলি. নর্থ বেঙ্গল চিনি কলের তৎকালীন প্রশাসক শহীদ লেঃ আনোয়ারুল আজিমের ছোট ছেলে ডাঃ আনোয়ারুল ইকবাল, শহীদ গুলজার হোসেন তালুকদারের বড় ছেলে শাহীন আল হাসান, আবুল হাশেমের ছেলে কৃষিবীদ আবুল খায়েরসহ অন্যান্যরা।
এসময় শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ,মিলের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকরা সহ সুধীজনরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকসেনা ও তাদের দোসর রাজাকাররা নাটোরের গোপালপুরের নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল দখল করে। পরবর্তীতে তৎকালীন মিলের জিএম লেফট্যানেন্ট আনোয়ারুল আজিমসহ মিলের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অন্তঃত দেড়শথ জনকে মিলের অফিসার্স কোয়ার্টারের পুকুর ঘাটে নিয়ে গিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করায় হানাদারের পাকবাহিনী। এরপর তাদের মেশিনগানের গুলিতে মুহূর্তের মধ্যে পুকুর ঘাট লাশের স্তুপে পরিণত হয়। স্বাধীনতার পর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ওই পুকুরটির নামকরণ করা হয় শহীদ সাগর।