নাটোরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড 

0 ১৫৯

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরে যৌতুকের দাবিতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হাসনা হেনাকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে স্বামী শরিফুল ইসলামকে মৃত্যুদন্ড ও ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। এ মামলায় আরো তিনজনকে খালাস দেন আদালত।

সোমবার নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্ত শরিফুল ইসলাম নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের করোটা গ্রামের সামসুল হকের ছেলে।

স্পেশাল কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান জানান, ২০১৪ সালের ১৮ নভেম্বর নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ই্উনিয়নের করোটা গ্রামের সামসুল হকের ছেলে শরিফুল ইসলামের সাথে পাশ্ববর্তি গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের জয়নাল আবেদীনের মেয়ে হাসনা হেনার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য হাসনা হেনাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন শুরু করে স্বামী সহ পরিবারের সদস্যরা।

নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ২০১৫ সালের ৫ ডিসেম্বর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পরে যৌতুকের জন্য আর কোন দিন নির্যাতন করবেনা অঙ্গীকার করলে তাদের পুনরায় বিবাহ হয়। সংসার করাকালে হাসনা হেনা ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়। কিন্তু শরিফুল ও তার পরিবোরের সদস্যদের নির্যাতন বন্ধ হয়না। প্রতিবাদ করলে ২০১৭ সালের ৩১ আগস্ট রাতে হাসনা হেনাকে পিটিয়ে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে পালিয়ে যায় পরিবারের লোকজন।

পরের দিন সকালে এলাকাবাসীর মাধ্যেমে জানতে পেরে মেয়ের বাড়িতে গিয়ে ঘরের বারান্দায় মেয়ের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে হাসনা হেনার মা মর্জিনা বেগম। এ ঘটনায় নিহতের মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে হাসনা হেনার স্বামী সহ ৪ জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘ ৬ বছর মামলার স্বাক্ষ্য প্রমান গ্রহণ শেষে আসামীর উপস্থিতিতে আদালতের বিচারক শরিফুল ইসলামকে মৃত্যুদন্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। এ সময় মামলার অপর তিন আসামিকে মামলা থেকে খালাস দেন বিচারক। মামলার রায়ে বাদী পক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.