নাটোর প্রতিনিধি: প্রায় ৫৫ কোটি টাকা লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে উত্তরবঙ্গের বৃহৎ কৃষিভিত্তিক ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান নাটোর চিনি কলে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ৪০ তম আখ মাড়াই মৌসুম শুরু হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে ডোঙ্গায আখ নিক্ষেপ করে মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফআইসি-এর চেয়ারম্যান শেখ সোয়েবুল আলম এনডিসি, বিএসএফআইসি’র ইক্ষু উন্নয়ন ও গবেষণা পরিচালক যুগ্ম সচিব পুলক কান্তি বরুয়া, বিএসএফআইসি’র সচিব চৌধুরী রুহুল আমিন, নাটোর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন সহ মিলের কর্মকর্তা ও আখচাষী নেতৃবৃন্দ। মিলটিতে ২০২৩-‘২৪ মৌসুমে আখ মাড়াই এর লক্ষ্যমাত্রা ৭৮,০০০ হাজার মে. টন। চিনি আহরণের হার (রিকোভারী) ৬.৫০% এবং চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৫০৭০,০০ মে.টন। মাড়াই কার্যক্রম চালু থাকবে আনুমানিক ৫২ দিন।
গত বছর ৫০৭৪০.৪৮ মে.টন আখ মাড়াই করে ২৯৫৪.০০ মে.টন চিনি উৎপাদন করা হয়েছিল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন বাংলাদেশ সরকার (আখের) প্রতিযোগী অন্যান্য ফসলের দামের তুলনায় আখের মূল্য কম হওয়ায় আখচাষিদের স্বার্থ বিবেচনায় ও যাতে সুগার মিলগুলো লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আখ মাড়াই করতে পারে, সেই লক্ষ্যে সর্বশেষ চলতি বছরের ১০ আগষ্ট প্রতিমন আখের মূল্য ১৮০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২০২৩-২৪ মাড়াই মৌসুমের জন্য ২২০ টাকা এবং ২০২৪-২০২৫ মাড়াই মৌসুমের জন্য ২৪০ টাকা নির্ধারণ করেছেন।
যার ফলে মিলজোন এলাকায় চাষীদের মাঝে আখ চাষে যথেতে চাহিদা পরিলক্ষিত হচ্ছে। আখ চাষীদের মাড়াই কলে আখ না দিয়ে মিলে আখ সরবরাহ করতে অনুপ্রানিত করা হয়েছে। এবার কাংখিত আখ সরবরাহ পেলে মিলটি লাভের মুখ দেখবে বলে মিল কতৃপক্ষ আশা প্রকাশ করেছেন। পরে মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে সব্বোচ্চ আখ সরবরাহকারী আখ চাষীকে পুরষ্কৃত করা হয়।