নিকারাগুয়ার ১০০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা
নাগরিক স্বাধীনতার ওপর আঘাত, মানবাধিকারকে সঙ্কুচিত ও গণতন্ত্রকে দুর্বল করায় জড়িত থাকার অভিযোগে মধ্য আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়ার ১০০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগার শাসনামলে নিকারাগুয়ার নাগরিকদের মানবাধিকার সীমিত করার সঙ্গে ওই ১০০ সরকারি কর্মকর্তা জড়িত। নাগরিক স্বাধীনতার ওপর নির্বিচারে আঘাতের ঘটনায় ওর্তেগা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত আগস্ট থেকে ড্যানিয়েল ওর্তেগা ও ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলো সেন্ট্রাল আমেরিকান ইউনিভার্সিটি ও সেন্ট্রাল আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বন্ধ বা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে। দেশটির সবচেয়ে বিখ্যাত উচ্চশিক্ষার দুটি কেন্দ্রের সঙ্গেও একই কাজ করেছেন তারা। এর পাশাপাশি ওর্তেগা-মুরিলো প্রশাসন একাডেমিক প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্যবস্তু করেছে, যা নিকারাগুয়ার নাগরিকদের আশা ও স্বপ্নকে ব্যাহত করেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এ পর্যন্ত নিকারাগুয়ার এক হাজারেরও বেশি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ভিসা নিষেদাজ্ঞার আওতায় যারা রয়েছেন, তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন, স্বাধীন মতপ্রকাশ দমন ও দুর্নীতিতে জড়িত। তারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।
এদিকে, বিচারবিহীন ও অন্যায়ভাবে নিকারাগুয়ার জেলে আটকে রাখা বন্দিদের দ্রুত মুক্তি দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই সংবাদ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নিকারাগুয়ার গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলা ব্যক্তিদের জবাবদিহিতা বাড়াতে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব। আমরা নিকারাগুয়ার জনগণের মৌলিক স্বাধীনতা এবং তাদের মানবাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, প্রেসিডেন্টের ঘোষণা-১০৩০৯ অনুসারে, নিকারাগুয়ায় গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ নীতি বা কর্মের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ স্থগিত করতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।