
স্হানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই জমি ও বসতবাড়ির বৃষ্টির পানি সরকারি খাস জমির ওপর ড্রেন দিয়ে নিষ্কাশন হতো। হঠাৎ করেই গুজিশহর গ্রামের তিন ভাই নুরুল ইসলামের প্রতিবেশী মাবুদ মোল্লা (৪০), মাজেদ মোল্লা (৩৫) ও আজিজ মোল্লা (৩০) ওই ড্রেনের মুখ ইট দিয়ে আটকিয়ে দেয়। এতে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে পানি জমে থাকায় বাড়িটি (১ জুলাই) শনিবার ভেঙে পড়ে।
ভুক্তভোগী নুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের বাড়ির পানিসহ আশেপাশের জমির পানিও আমাদের বাড়ির পাশের ড্রেন দিয়ে প্রবাহিত হতো। মাস দুয়েক আগে আমার প্রতিবেশী তিন ভাই ড্রেনের মুখ বন্ধ করে দেয়। ফলে আমার বাড়ির পানিসহ আশেপাশের জমির পানিও বাড়ির ভেতরে জমতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে প্রথমে থানায় লিখিত অভিযোগ করলে কোন সুরাহা না হওয়ায় পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্টেট লিজা আক্তার বিথীর কাছে একটি লিখিত আবেদন করলে তিনি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব লতিফুর রহমানকে দায়িত্ব দেন।
লতিফুর রহমান মাস খানেক পূর্বে এসে দেখে গেলেও পরে তিনি আর আসেননি। তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি কি করবো, আপনারা ঠিক করে নেন এমন কথা বলে পাস কটে চলে যান। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে পানি জমে গেলে স্হানীয় বাসিন্দা ও থানা পুলিশের সহায়তায় ড্রেনের মুখ খুলে দিলে পানি নেমে যা। কিন্তু পানি জমে থাকায় আমার মাটির দোতলা বাড়িটি ভেঙে পড়ে। বাড়িটি ভেঙে পড়ায় আমার অনেক ক্ষতি হয়ে গেল।
মাজেদ মোল্লা বলেন, ড্রেন দিয়ে গরুর মলমূত্র আসার ফলে দুর্গন্ধে বাড়িতে থাকা যেত না। এজন্য ড্রেনের মুখ বন্ধ করা হয়েছিল পরে খুলে দেওয়া হয়েছে।
ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব লতিফুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিবেদকের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। বিবাদিকে কোন নোটিশ দিয়েছিলেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন কৈফিয়ত দিতে পারবো না। বাড়ি ভাঙ্গুক আর যাই হোক না কেন? পরে তিনি ফোন রেখে দেন।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিজা আক্তার বিথী বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।