নিয়ামতপুরে কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে দা-বটির দোকানে ভীড়

২৯৯
শাহজাহান শাজু, নিয়ামতপুর, নওগাঁ প্রতিনিধি: আর তিনদিন পর আগামী ১০ জুলাই রবিবার পালিত হতে যাচ্ছে পবিত্র ঈদ-উল-আজহা। কোরবানির পশু জবাই চামড়া ছাড়ানো, ও গোসত টুকরো করতে ধারালো দা-বটি-ছুরি-চাকু-চাপাতির চাহিদা ঈদ এলেই অনেকগুনে বেড়ে যায়। আর এ চাহিদা পূরণ করতে এগুলো তৈরি এবং পুরানোগুলো শান দিতে শেষ সময়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কারিগররা।
তাই পশুর হাটগুলোর পাশাপাশি এখন কোরবানির পশুর মাংস কাটার সরঞ্জামাদি কিনতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে ‘দা-বটির’ দোকানগুলোতে।
ঈদকে কেন্দ্র করে শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা সদরের দোকানসহ উপজেলার নিমদিঘি, ছাতড়া, বটতলীসহ বিভিন্ন হাট বাজারের লোহার তৈরি ধারালো সরঞ্জামাদি বিক্রেতারা।
নিয়ামতপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, এসব ‘দা-বটির’ দোকানগুলোর সামনে সাজানো ছুরি-চাপাতি, দা-বটি। ক্রেতারা এসে পছন্দ ও প্রয়োজন অনুযায়ী কিনে নিয়ে যাচ্ছে।
সুবাস কর্মকার নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, আমার বাবার আমল থেকে এই নিয়ামতপুর বাজারে দা,বটি, ছুরি বিক্রি করছি। চায়না স্টিলের ছুরি-চাকুর কারণে আমাদের এখন ব্যবসা কমে গেছে। তিনি আরও বলেন, বেশ কিছু দিন যাবত ব্যবসা ভালোই হচ্ছে। তবে শেষ সময়ে গতকাল ও আজ বিক্রি মোটামুটি বেড়ে গেছে। কেমন দামে বিক্রি হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাপাতি মানভেদে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। অন্যদিকে চাকু বটি, ছুরি ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে প্রতিবছর কোরবানির ঈদে ব্যবসা ভালোই হয়।
নিয়ামতপুর সদরের সেলিম রেজা রিপন নামের এক ক্রেতা জানান, একটা ছাগল ও গরু কুরবানি দেবো। তাই নতুন চাপাতি, ছুরি ও বটি কিনলাম। তবে গতবারের থেকে দামটা এবার একটু বেশি।

Comments are closed.