নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নিয়ামতপুরে দখলীয় সম্পত্তি বিক্রি করার কথা বলে এক আদিবাসী নারীর নিকট হতে ২লক্ষ ২৫ হাজার টাকা গ্রহন করে জমি রেজিষ্ট্রি না দিয়ে সেই টাকা আত্নসাত করার অভিযোগ উঠেছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মুনছের আলী, তার স্ত্রী নাসিমা বেগম ও ছেলে জনি আহম্মেদের বিরুদ্ধে থানায় প্রতারনার অভিযোগ করেছেন নিয়ামতপুর সদর ইউনিয়নের কানইল গ্রামের আদিবাসী নারী সরলা বালা। সরলা বালা ওই গ্রামের অনিল দাসের স্ত্রী।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার কানইল মৌজার জেএল নং-২১৪, খতিয়ান নং- আরএস ১৪০, পরিমান ৫ শতাংশ জমি বিক্রি করার কথা বললে সে জমি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন সরলা বালা।
পরবর্তীতে সেই জমির দরদাম ফায়সালা হলে ২ জুলাই ২০১৭ জমির মূল্য বাবদ জমির মালিক মুনছের আলীকে দুই লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকা প্রদান করেন সরলা।
কিন্তু টাকা গ্রহনের পর (২,২৫.০০০/- টাকা) জমির খাজনা খারিজ না থাকায় ৩টি নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে অঙ্গিকার করেন যে, তপসীল ভুক্ত জমি কিছুদিনের মধ্যে খারিজ করে সরলাকে রেজিস্ট্রি দিবেন।
কিন্তু দু’বছর পেরিয়ে গেলেও জমি রেজিষ্ট্রি দেয়ার কোন কথাই নেই মালিক পক্ষের। এমন কি রেজিষ্ট্রির কথা বললে উল্টো ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকী দিচ্ছেন তারা।
অভিযোগকারী সরলা বালা জানান, ‘তপসীল ভুক্ত জমি তিনি ক্রয় বাবদ জমির মলিক মুনছের আলীকে ২,২৫.০০০/- টাকা প্রদান করেছেন। কিন্তু সে জমি রেজিষ্টি দিতে এখন কালক্ষেপন করছেন তারা। আর এতে প্রভাবিত করছেন তার স্ত্রী ও ছেলে।
রেজিষ্ট্রির জন্য তাগাদা দিলে মুনছেরের ছেলে কথিত সাংবাদিক জনি আহম্মেদ বলে আমি সাংবাদিক টাকা দেওয়া যাবেনা পারলে কিছু করার থাকলে কর, তাছাড়া মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকী ধামকী প্রদান করছে তাকে। বর্তমানে তার হুমকীতে চোখের ঘুম হারাম হয়ে গেছে তার ও পরিবারের।
তিনি জানান, জনির বিভিন্ন ধরণের হুমকীতে চরম নিরাপত্তাহীনতার মাঝে দিন পার করছেন তিনি।”
ওসি হুমায়ন কবীর জানান, অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।