
রোববার (১৯ জুন) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এসময় ড. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে মো. শহীদুল্লাহ’র সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহকারি সেকশন অফিসার, মাসুদ রানা বলেন, আজকে আমাদের অফিসে বসে শিক্ষার্থীদের সেবা দেওয়ার পরিবর্তে রাস্তায় অবস্থান করছি। ইউজিসির এই কালো থাবার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তাদের রাস্তায় এসে দাঁড়াতে হয়েছে এর মতো লজ্জা আর কি হতে পারে? ইউজিসি একটি আমব্রেলা নামক কমিটি গঠন করে বাংলাদেশের ৫২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একটি নীতিমালায় আনতে চাচ্ছে। আমরা গোপন সূত্রে শুনেছি তারা আমাদেরকে দুটো প্রমোশনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে চায় যেটা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্টের নীতিগত লঙ্ঘন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে আমার ৬২ নয় ৬৫ বছর পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করতে চায়। যত প্রশাসনিক কোটা খালি আছে সেগুলোতে যোগ্যতম লোক বাচাই করে নিয়োগ দিতে হবে। কর্মকর্তাদের পদোন্নতি ও পদায়নের সুযোগ সুবিধা থাকবে। অফিসার নিয়োগ হওয়ার একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর আমাদের পদোন্নতির ব্যবস্থাসহ ১২ দফা দাবি নিয়ে আমরা রাস্তায় দাঁড়িয়েছি। উপাচার্য স্যার আমাদের দাবিগুলো অনতিবিলম্বে বাস্তবায়ন করে আমাদের পাশে দাঁড়াবে এমনটাই প্রত্যাশা স্যারের কাছ থেকে।’
শারীরিক শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা কামরুজ্জামান চঞ্চল বলেন, ইউজিসি কর্তৃক গোপনীয়ভাবে কর্মকর্তাদের ন্যায্য অধিকার খর্ব করার যে যড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে তা প্রকাশ করার মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের জানাতে চাই। তার প্রতিবাদে আজ আমরা আন্দোলনে নেমেছি। আমি ওই সকল শিক্ষকদেরকে ধিক্কার জানাই যারা আমাদেরকে লেবার মনে করে, আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাবে বলতে চাই আমরাও আপনাদের থেকে কোনো অংশে কম নয়। যদি তাই না হয় তাহলে কেন আপনারা আমাদের কর্মস্থল কেন দখল করতে আসেন?
অডিট সেলের কর্মকর্তা মাসুম আল রশিদ বলেন, ‘অনেকেই আমাদেরকে প্রশ্ন করছে ১২ দফা দাবির যৌক্তিকতা কতটুকু? বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আমাদের চাওয়া দাবিগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে তবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন বাস্তবায়ন হবে না? যারা সেকশন অফিসার হিসেবে যোগদান করবে শুধু তাদেরই পদোন্নতি হবে এটি কেমন নীতিমালা। প্রাইমারিতে চাকরিরত কর্মকর্তাদের পদোন্নতির সুযোগ রয়েছে কিন্তু বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে চাকরি করেও সেই সুযোগ সুবিধা থেকে আমরা বঞ্চিত। বঙ্গবন্ধুর বাংলায় কেন এতো বৈষম্যের শিকার হতে হবে? আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’
এসময় বিভিন্ন বিভাগ, অনুষদ, প্রশাসন ভবন থেকে আসা প্রায় দুই শতাধিক কর্মকর্তা এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।