নেইমারের সদ্যোজাত সন্তানকে অপহরণের চেষ্টা
ইউরোপ ছেড়ে মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি জমিয়েছেন নেইমার জুনিয়র। কিন্তু সৌদি আরবে গিয়েও সময়টা ভালো যাচ্ছে ব্রাজিলিয়ান তারকার। জাতীয় দলের হয়ে খেলার সময় গোড়ালির চোটে দীর্ঘ সময়ের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে গেছেন তিনি। এর মধ্যে তার সদ্যোজাত কন্যা সন্তানকে নিয়ে ঘটে গেছে ভয়ঙ্কর ঘটনা।
সাও পাওলোর মেট্রোপলিটনের কোটিয়াদে নেইমারের বান্ধবী ব্রুনার বাড়িতে ঘটেছে ভয়ঙ্কর ডাকাতির ঘটনা। এমন সময় তিন ডাকাত তাদের সদ্যোজাত কন্যা সন্তানকে অপহরণের চেষ্টা করে। এসময় ব্রুনার বাবা ও মায়ের হাত-মুখ বেঁধে লুটপাটও চালিয়েছে ডাকাত দল। এমনকি টাকা পয়সার ব্যাগ, ঘড়ি, গয়না নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যম মার্কা জানিয়েছে, ব্রাজিলের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) ভোরে ব্রুনার বাড়িতে প্রবেশ করে তিন জন সশস্ত্র ডাকাত। সেই বাড়িতে থাকা সদস্যদের বারবার জিজ্ঞাসা করা হয় ব্রুনা এবং সেই সদ্যোজাত কোথায় রয়েছেন। তবে অপহরণের চেষ্টা থেকে বেঁচে যান নেইমারের সদ্যোজাত সন্তান।
এরপর বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ডাকাতদের সনাক্ত করেছে সেখানকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ব্রাজিলের মিউনিসিপাল সিভিল গার্ড (জিসিএম) জানিয়েছে, ডাকাতদের মধ্যে একজন সেখানকারই বাসিন্দা। যেই গাড়িটি করে তারা ব্রুনার বাড়িতে আসেন, সেটি ওই অঞ্চলের এক বাসিন্দার।
সেই গাড়ির মালিককে আটক করে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায়, গাড়িটি তিনি তার ছেলেকে দিয়েছিলেন। এরপর তার ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, তিনি স্বীকার করে নেন, তারা ডাকাতি করার চেষ্টা করেছেন। তবে নেইমারের সন্তান অপহরণের চেষ্টা নিয়ে কোনো কিছু জানায়নি তারা।
নিজের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার পরই সামাজিক মাধ্যমে ব্রুনা লেখেন, ‘আমার মা-বাবাকে বেঁধে রেখে ভোরে আমার বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। আমি, আমার সন্তান আর আমার বোন সেখানে আর থাকি না। ঘটনার সময়েও ছিলাম না। ঈশ্বরের ইচ্ছায় আমরা সবাই ভালো আছি। এই ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত তারা সকলেই ধরা পড়েছে।’