সরেজমিনে দেখা যায়, বিল ও ছোট যমুনা নদীতে বিভিন্ন জায়গায় দিনেরাতে লোকজন অবাধে রিং জাল ( চায়না জাল), কারেন্ট জাল সহ মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে ডিমওয়ালা মা এবং পোনা মাছ নিধন চলছে। এসব জালে মাছের পাশাপাশি অনেক পোনাও আটকা পড়ে।
কিন্তু পোনা কোনো কাজে লাগে না বলে মৃত পোনাগুলো ফেলে দেয়া হয়। জালগুলো ভাটিতে বিল ও নদীর ঢালের দিকে খুঁটিতে পানির নিচে বেঁধে রাখা হয়। এসব জালে ছোট-বড় মাছের সাথে একেবারে ক্ষুদ্র পোনাও ধরা পড়ে।
উপজেলার নদী ও বিলে এই ধরনের জালগুলোতে সয়লাব হয়ে গেছে। অবৈধ জালের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় মাছের স্বাভাবিক প্রজনন, বংশ বিস্তার ও বৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে। অচিরেই এসব জাল বন্ধ না হলে দেশের মৎস্যভাণ্ডারে বিপর্যয় নেমে আসার শঙ্কা সাধারণ মানুষের। অবৈধ জাল দিয়ে এক শ্রেণির অসাধু জেলেরা মা মাছ নিধন করলেও উপজেলা মৎস্য অফিসের নেই কোনো নজরদারী।
আমাইড় ইউনিয়নের অষ্টমাত্রাই গ্রামের রাব্বানী বলেন, আমরা উপজেলা মৎস্য অফিসারকে অবৈধ রিং জাল ধরার জন্য একাধিক বার ফোন করে বলার পরেও তার কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। তিনি আসবেন বলেন কিন্তু আসেন না।
একই এলাকার জেলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শর্তে বলেন, বিলে ও নদীতে হাজার হাজার অবৈধ চায়না জাল দিয়ে মাছ ধরতেছে কিন্তু পত্নীতলা উপজেলা মৎস্য অফিসার এখানে আসেই না। পার্শ্ববর্তী উপজেলা বদলগাছি থেকে অফিসার আসে জাল ধরে নিয়ে যায়।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু সাঈদ বলেন, তিনটি উপজেলা বিস্তৃত খুকসির বিল কিছুদিন আগে বদলগাছী মৎস্য অফিসার অভিযান দিয়েছিলো। আমরাও খুব শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করবো বলে জানান তিনি।