পত্নীতলা ( নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর (বাউন্ডারি ওয়াল) নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে। উপজেলার পদ্মপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই নাম্বার ইট ও নিম্ন মানের খোয়া দিয়ে ঢালাই ও সীমানা প্রাচীরের কাজ করছে মুসলিমদ্দীন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
জানা গেছে, সড়ক লাগোয়ো বিদ্যালয়গুলোর শিশুরা যাতে দুর্ঘটনার শিকার না হয়; সেজন্যই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষার অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারের ব্যাপক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সড়ক লাগোয়া বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
কিন্তু নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছে। পদ্মপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই নম্বর ইট ও নিম্নমানের ইটের খোয়া, বালু ও কংকর ব্যবহারেও চালুনি দেয়া হয়নি।
পদ্মপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রেহেনা পারভীন বলেন, আমরা ইট নিয়ে কমপ্লেন পেয়েছিলাম আমি একদিন গিয়ে বলেছি এইটা দুই নম্বর ইট সাব ইঞ্জিনিয়ার যিনি থাকে আমাকে বলেছে এইটা এক নাম্বার ইট। ওনিই যদি বলে এইটা এক নাম্বার ইট তাহলে আমরা কেমন করে কি করব বলেন। তারপরেও আমরা সবসময় থাকতেছি না তারা কি করতেছে। আমি বিষয়টা স্কুলের সভাপতিকে জানাচ্ছি।
মুসলিমদ্দীন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের শেয়ার পার্টনার ওলী জানান, এটা সিস্টেমের ইট পরে আর দেওয়া হয়নি কিন্তু। এর পর থেকে যেটা ঢুকবে সেই ইট ভালো ঢুকবে। তিনি নিউজ না করতে সাংবাদিকে অনুরোধ করে।
নির্মাণকাজে বড় ধরনের অনিয়মের ঘটনায় উপজেলা প্রশাসনের তৎপরতা দেখা গেলেও উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো: ইমতিয়াজ জাহিরুল হক’র ভূমিকা রহস্যজনক। তিনি এ ব্যাপারে একদমই কথা বলতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে একাধিকবার উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো: ইমতিয়াজ জাহিরুল হক’র ফোনে স্কুলের প্রকল্পের বাজেট ও কত অর্থবছরের কাজ এর তথ্য জানকে চাইলে তিনি ফোনে তথ্য না দিয়ে অফিসে এসে তথ্য নিতেন বলেন। অফিসে তথ্য নিতে গেলে প্রকৌশলী মো: ইমতিয়াজ জাহিরুল হক সাংবাদিকের উপর মানহানি মামলা করবেন বলে হুমকি দেন।