রাবি প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পূর্বের খেলাকে কেন্দ্র করে পূর্ব-পরিকল্পিত ভাবে সাধারণ এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়েছে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী। পরে আহত অবস্থায় ঐ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা। রোববার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মো. আসিফ আহমেদ।তিনি আইন বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। তার বাসা গাইবান্ধা জেলায়।
এদিকে অভিযুক্তরা হলেন একই বিভাগের কায়েস মাহমুদ ও তানিব রহমান। তারা দুজনেই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী। তবে অনুসারীর বিষয়টি অস্বীকার করছেন ছাত্রলীগের সভাপতি। এসময় তাদের সহযোগী হিসেবে ছিলেন আব্দুল্লাহ, ফোরকান, শাকিল ও নাঈম। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আসিফ আহমেদ বলেন, আমাদের আইন বিভাগে প্রতিবছর একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হয়। এবারের খেলা পরিচালনা করার জন্য ১৫ জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ৪-৫ জন শিক্ষার্থী এ খেলা হতে দিবে না। তারা সবাই ছাত্রলীগের কর্মী। তাদের বাদ দিয়েই আমাদের এবারের টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।
এরই সূত্র ধরে খেলার আয়োজনের দায়িত্বে থাকা কয়েকজনকে তারা মারবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়। আমাকে পরিবহনে মার্কেটে একা পেয়ে কায়েস মাহমুদ, তানিবের নেতৃত্বে তারা বেধড়ক পিটিয়েছে আমাকে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই। অভিযুক্ত ছাত্রলীগের কর্মী কায়েস মাহমুদ ও তানিবের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তারা ফোন ধরেনি ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে যারা মেরেছে তাদেরকে ভালো করে চিনতে পারছি না আমি। তারা আমার অনুসারী কিনা আমি ভালো করে এখনো ক্লিয়ার না। তবে আমরা দেখছি, যদি ছাত্রলীগের কেউ হয়ে থাকে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক বলেন, এ বিষয়টি আমরা শুনেছি। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে চোখসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করা হয়। আমরা প্রাথমিকভাবে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠাই এবং তার এক্সরে করাই। তার বিভাগের মাধ্যমে আমাদের কাছে অভিযোগ এলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নিবো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সভাপতি হাসিবুল আলম প্রধান বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আমাকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে মিটিং ডেকেছি।। যারা তাকে মেরেছে তাদের বিষয়ে সত্যতা পেলে বিভাগ থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।