গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার দিনরাত নিরলস ভাবে কাজ করলে ও মাঠে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের।ফলে সরকারে ত্রান সামগ্রী প্রনোদনা, অর্থসহায়তাসহ সকল গৃহীত কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
প্রতিটি ইউনিয়নের জিআর চাল বিতরনে রিলিফ অফিসার( ট্যাগ অফিসার) বাধ্যতামুলক ভাবে নিয়োগ দেয়া থাকলে ও তারা তাদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করছেন না।ফলে জিআর চাল বিতরনে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ইউপি চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় ওএমএস ডিলারের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি চাল বিতরনে এসব কর্মকর্তাদের দেখা মিলছে না।একই অবস্থা খাদ্য বান্ধব কর্মসুচীর ক্ষেত্রে ও।অনেক যায়গায় রিলিফ অফিসার থাকলে ও ফটো শেষনের পর তারা আর থাকে না।আর এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছেন কতিপয় অসাধু জনপ্রতিনিধি।ফলে বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি অনেকরা ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে মনে করেন সচেতন মহল।টিসিবি পন্যবিতরনের মান আরো খারাপ একই ব্যাক্তি ৩০ লিটার তেল পেলে ও বাকীরা খালি হাতে বাড়ী ফিরছে।তারা বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছেন।আবার তেল মিললে ও মিলছে না চিনি ও ডাল।এসব চিনি ও ডাল বস্তা পরিবর্তন করে কালোবাজারে বিক্রি করা হচ্ছে বলে সাধারন মানুষের অভিযোগ রয়েছে।সরকারি গোয়েন্দ সংস্থা ও পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ গুলো এসব দেখে ও না দেখার ভান করছে।স্পেশাল ব্রাঞ্চের জনৈক্য কর্মকর্তা জানান সব কিছু শতভাগ বিতরন নিশ্চিত হচ্ছে।কোন অনিয়ম তারা পাচ্ছেন না।
গাইবান্ধায় জেলা উপজেলা সদরের হাট-বাজার ও পাড়া-মহল্লায় ঢিলেঢালা লক ডাউন
গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি মোকাবেলায় গাইবান্ধাকে লক ডাউন ঘোষণার পরদিন শনিবার যথারীতি পালিত হলেও রোববার সকাল থেকেই জেলা উপজেলা সদরের হাট-বাজার ও পাড়া-মহল্লার সর্বত্র ঢিলেঢালা ভাব পরিলক্ষিত হয়। জেলা উপজেলা সদরের রাস্তা গুলোতে অটোবাইক, অটোরিক্সা, মিনি ট্রাক, মটর সাইকেল, বাই-সাইকেলসহ সকল প্রকার যানবাহন চলাচল ও পথচারিদের যথেষ্ট ভীড় পরিলক্ষিত হয়। এদিকে শহর এবং উপজেলা শহরের হাট-বাজারগুলোতে ভীড় পরিলক্ষিত হয়। এছাড়া জেলা শহরের পাড়া-মহল্লা, বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ এবং শহরতলি এলাকার ভেড়া রেলওয়ে ব্রীজের মোল্লারবাজার থেকে ৭৫নং রেল গেট পর্যন্ত কাজি বাড়ির সড়ক সহ বিভিন্ন এলাকায় একই অবস্থা বিরাজ করতে দেখা যায়।
প্রতিটি শহরে লক ডাউন বাস্তবায়নে পুলিশের ব্যাপক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ তৎপরতা চালিয়ে চলে যাওয়ার পরেই আবার সংশ্লিষ্ট এলাকায় পরিস্থিতি আগের মতই হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় লোকজনরা এব্যাপারে মন্তব্য করেন পুলিশের একার পক্ষে লক ডাউন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। সেজন্য জনসচেতনতা একান্ত অপরিহার্য। এব্যাপারে পৌরসভা, জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠন থেকে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে বার বার মাইকিং করা সত্ত্বেও তাতেও কোন কাজে আসছে না।
এদিকে লক ডাউন ঘোষণার পর থেকেই বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা শহর সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে বাঁশের কঞ্চি, গাছের গুড়ি ফেলে রেখে এবং বাঁশের বেড়া দিয়ে স্উথনীয় অতি উৎসাহী লোকজন বেরিকেড দেয়। অনেকে এই সমস্ত বেরিকেডে বহিরাগতদের চলাচল নিষিদ্ধ লিখে হাতে লেখা পোস্টার ঝুঁলিয়ে রেখেছে। ফলে জেলা শহরসহ ও পৌর এলাকার প্রধান প্রধান সড়কগুলো ছাড়া বেরিকেডের কারণে অন্যান্য সড়কগুলোতে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল এমনকি বহিরাগত অন্যান্য এলাকার লোকজনেরও চলাচল একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। তবে এই সমস্ত বেরিকেডের ফাঁক দিয়ে ওইসব মহল্লা ও পাড়ার লোকজন কষ্ট করে এবং হেটে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে। তদুপরি লকডাউনের নামে নির্দেশ না থাকা সত্ত্বেও পাড়ায় মহল্লায় এধরণের বেড়িকেট সংশ্লিষ্ট পাড়া বা মহল্লাায় বসবাসকারি সর্ব শ্রেণির মানুষের স্বাভাবিক চলাচলকে যেমন বাঁধা গ্রস্থ করছে। তেমনি অতি জরুরী প্রয়োজনে বেরিকেড দেয়া এলাকায় ফায়ার বিগ্রেড ও রোগী পরিবহনে এ্যাম্বুলেন্স, প্রতিবন্ধীদের বাই-সাইকেল সহ যানবাহন চলাচল বিঘিœত হওয়ার আশংকা রয়েছে।