পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার সাঁথিয়ায় ভয়াবহ অগিকান্ডে ৪টি বসত ঘরসহ যাবতীয় মালামাল ও আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ সময় মারিয়া নামের আট বছর বয়সী এক শিশু নানা বাড়ি বেড়াতে এসে আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয়ে মারা গেছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শিশুটি উপজলার ভুলবাড়িয়া ইউনিয়নের গয়েশবাড়িয়া গ্রামের রুবেল হোসেনের মেয়ে। রোববার (০৯ এপ্রিল) দুপুরে ধুলাউড়ি ইউনিয়নের বিলচাপড়ি গ্রামের মোকছেদ প্রামানিকের বাড়িতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে নগদ টাকা, পাট, পেঁয়াজ, ধান ও ঘরে থাকা মালামালসহ দুই ভাইয়ের প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয়রা কেউ কেউ বলছে, ঘরের বৈদ্যুতিক তার ছিদ্র হয়ে পাটে আগুন ধরে যায়। আবার কেউ বলছে বাচ্চারা ঘরে আগুন দিয়ে খেলা করছিল। সেখান থেকেও আগুন লাগতে পারে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আগুন লাগার সঠিক কারণ জানা যায়নি।
পারিবারিকও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন দুপুরে মোকছেদের বাড়ির লোকজন উঠানে পেঁয়াজ কাটছিল। এ সময় ঘরের ভেতর হঠাৎ আগুন জ্বলে উঠে। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা বাড়ির অন্যান্য ঘর ও মোকছেদের ভাই আরশেদের ঘরেও ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় মারিয়া তার নানা আরশেদ আলীর ঘরে অন্যান্য শিশুদের সাথে খেলা করছিল। অন্যান্য শিশুরা দৌড়ে বের হলেও মারিয়া তার নানার ঘরে খাটের নিচে লুকায়। ঘরের চারদিক আগুন ধরে গেলে মারিয়া খাটের নিচে পুড়ে মারা যায়।
এ সময় মোকছেদের ২টি ও তার ভাই আরশেদের ২টি টিনের ঘরসহ মালামাল পুড়ে যায়। এলাকাবাসী ও সাঁথিয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রাণপণ চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ততক্ষণ সব পুড়ে শেষ হয়ে যায়।
মোকছেদ জানান, আমার প্রায় নগদ দেড় লাখ টাকা, ১৬০ মণ পেঁয়াজ, ৬০ মন পাট, ২৫ মন ধানসহ আমাদের দুই ভাইয়ের ঘর ও মালামাল পুড়ে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমরা সব হারিয়ে পথে বসে গেলাম।
এ ব্যাপারে ধুলাউড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জরিফ আহমেদ শিশু মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। আগুনে পুড়ে তাদের দুই ভাইয়ের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এবং শিশুটি পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। লাশটি তার বাবা রুবেল নিজ বাড়ি নিয়ে গেছেন।
সাঁথিয়া ফায়ার সার্ভিসের সাব অফিসার আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে গিয়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। প্রাথমিকভাব ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি শুনেছি। তবে কেউ আমাদের কাছে কোন লিখিত দেইনি।