আটঘরিয়া(পাবনা) প্রতিনিধি: পাবনার ভাঙ্গুড়ায় পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেলের নেতৃত্বে উপজেলা ছাত্রলীগ অভিযান পরিচালনা করে একজন সরকারি কর্মচারীসহ তিনজন হেরোইন ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন।
আটকৃতরা হলেন ভাঙ্গুড়া প্রাণি সম্পদ অফিসের সরকারি কর্মচারী মো. শরিফুল ইসলাম (স্টোর কিপার সাময়িক বহিষ্কৃত), অন্য দুজন হলেন জুয়েল রানা ডিপজল ও লিটন আলী।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে পৌরমেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেলের নেতৃত্বে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুল ইসলাম বিপ্লব ও কর্মীরা পৌর সদরের বড়াল ব্রীজ স্টেশনের দক্ষিণ পাশ থেকে মাদক সেবনরত অবস্থায় তাদেরকে হাতে নাতে আটক করে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশে খবর দেয়।
খবর পেয়ে ভাঙ্গুড়া থানার এসআই আবু তাহের ও এএসআই কামরুজ্জামান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের আটক করে। এসময় তাদের দেহ তল্লাশী করে মাদক সেবনের বিভিন্ন উপকরণসহ তিন পুড়িয়া হেরোইন উদ্ধার করেন।
জানা গেছে, উপজেলা প্রাণি সম্পাদ অফিসের সরকারি কর্মচারী মো. শরিফুল ইসলাম (সাময়িক বহিষ্কৃত), পিতা মৃত আঃ জব্বার পার্শ্ববর্তী চাটমোহর উপজেলার নারিকেল পাড়ার বাসিন্দা, সে ভাঙ্গুড়া প্রাণি সম্পাদ অফিসের স্টোর কিপার পদে কর্মরত ও উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের কোয়ার্টারে বসবাস করেন।
এর আগেও একাধিকবার তিনি মাদক সেবনরত অবস্থায় পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেলে গিয়েছিলেন এবং বর্তমানে তিনি চাকুরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত রয়েছেন। অপর দুজন জুয়েল রানা ডিপজল পৌর সদরের চৌবাড়িয়া লাইন পাড়ার মৃত বাবলুর ছেলে ও লিটন আলী কুমড়া ডাঙ্গার বাসিন্দা মো. হাশেম আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, আটককৃতরা সকলেই চিহ্নিত মাদক সেবনকারী ও ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। তারা জামিনে ছাড়া পেয়ে আবারো মাদক সেবনসহ এলাকায় বিশৃঙ্খলা পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টায় লিপ্ত ছিল।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, ভাঙ্গুড়ায় মাদক সংশ্লিষ্ঠদের কোন স্থান নেই। মাদকের বিরুদ্ধে তার সরকার এবং তিনি কঠোর অবস্থানে আছেন।
এবিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মু. ফয়সাল বিন আহসান বলেন, আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রজ্জু করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজাতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Comments are closed.