পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে প্রতিমা তৈরির ধুম পড়েছে। গত বছরের চেয়ে এবছর পুঠিয়ায় উপজেলায় মন্ডপের সংখ্যা দুটি বেড়েছে।
এবার ৫৪টি মন্ডপে পূজার আয়োজনের মধ্য দিয়ে পূজা অনুষ্ঠিত হবে পুঠিয়া উপজেলায়। দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। পুঠিয়া পৌরসভাসহ উপজেলার ইউনিয়নে গুলোতে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। দেবী দুর্গার সঙ্গে কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের পুঠিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি স্বপন কুমার নিয়োগী জানান, এ বছর আমাদের উপজেলায় ৫৪টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে। এর মধ্যে পুঠিয়া পৌরসভায় ১৬টি, পুঠিয়া ইউনিয়নে ১টি, জিউপাড়া ইউনিয়নে ৯টি, শিলমাড়িয় ইউনিয়নে ২১টি, ভালুকগাছি ২টি ও বানেশ্বর ইউনিয়নে ৫টি পূজা মন্ডপসহ সর্বমোট ৫৪ টি মন্ডপে প্রতিমা তৈরির শেষ হয়ে এখন চলছে দো-মাটির কাজ। সকল মন্ডপে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে ও সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে।
প্রতিমা তৈরির মৃৎশিল্পী প্রভাত জানিয়েছেন, এ বছরও তারা অন্য বছরের মতো প্রতিমার আকার ও আয়তন ঠিক রেখেই প্রতিমা তৈরি করছেন। তবে এবছর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় প্রতিমা তৈরির খরচ একটু বেশি পড়বে। প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ হয়েছে জানিয়ে পূজার এক সপ্তাহ আগে থেকে প্রতিমার গায়ে রং-তুলির আঁচড়ের কাজ শেষ করবেন বলে জানান তারা।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, দূর্গাপুজা উপলক্ষে প্রতিমা তৈরীর শুরু থেকেই মন্দির ও প্রতীমা তৈরির স্থান পরিদর্শন ও টহল জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া টহল টিম সব সময় তদারকী করছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ কে এম নূর হোসেন নির্ঝর জানান, আমরা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছি। আর ঝুকিপূর্ন যেগুলো আছে সেগুলো দেখাশুনার জন্য থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর সকল পূজা মন্ডপের সভাপতি ও সম্পাদককে নিয়ে মতবিনিময় করা হবে। পরবর্তীতে আনসার সদস্য নিয়োগ সহ পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।