পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়ার শিলমাড়িয়ায় মঙ্গলপাড়া পরিত্যক্ত মাদ্রাসার শতাধিক আমের গাছ কেটে ফেলেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। গত বুধবার রাতে প্রভাবশালীদের নির্দেশে এলাকার কিছু ছেলেরা এই গাছগুলো কেটে ফেলে রেখে গেছে বলে জানায় স্থানীয়রা।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের মঙ্গলপাড়া এলাকায় প্রায় ১০ বছর পূর্বে বন্ধ হয়ে যাওয়া মাদ্রাসার জমিতে বড় বড় আমের গাছ গুলো কেটে ফেলে রেখে যায়। সেই গাছ গুলো সেই জমিতেই পড়ে আছে। তবে অভিযোগ উঠেছে মঙ্গলপাড়া এলাকার ইপি সদস্য কামাল হোসেন এবং ততকালীন মাদ্রাসার সভাপতি ইমরুল কায়েস এর প্রভাবে এলাকার মানুষ সেখানে খেলার মাঠ তৈরি করবে বলে শতাধিক আমের গাছ কেটে ফেলে রেখেছে। এছাড়া অনেকে জানায়, এলাকার ছেলে দের খেলার মাঠ নাই। ৬ অক্টোবর ছাতারপাড়া খেলতে যায়। সেদিন সেখানে মারামারির ঘটনা ঘটে। সেই রাতেই এলাকার সব ছেলেরা সংঘবদ্ধ ভাবে গিয়ে আমের গাছগুলো কেটে রেখে যায়।
ইউপি সদস্য কামাল হোসেন জানান, কে-বা কাহারা গাছ গুলো কেটেছে তা আমার জানা নাই। আর আমি সেই সময় ছিলামও না। আমাদের ওয়ার্ডের কেউ এই কথা বলতে পারবেনা। তবে বিষয়টি ঘলাটে করার জন্য বাহিরের মানুষ বলতে পারে। তবে আমার জড়িত থাকার কথা কেউ যদি বলে থাকে তা পুরাটাই মিথ্যা।
পরিত্যক্ত মাদ্রাসার সভাপতি ইমরুল কায়েস বলেন, সেই দিন রাতে খেলাকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়। এতে আমাদের এলাকার ছেলে আহত হয়। সেই ছেলেকে নিয়ে আমিআর মেম্বার কামাল হাসপাতালে ছিলাম। তারপর যদি আমাদের নাম কেউ বলে উদ্দেশ্য মুলক ভাবে বলেছে।
শিলমাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মুকুল জানান, গাছ গুলো কে কেটেছে তা জানতে পারিনি। তবে যারা মাদ্রাসার জমির গাছ নিয়োম না মেনে কেটেছে তারা কাজটি সঠিক করেনি।
থানার অফিসার ইনচার্জ সোহরাওহয়ার্দী হোসেন জানান, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ জানান, এ ব্যাপারে কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ আসলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Comments are closed.