পুঠিয়ায় একজন স্বাস্থ্য সহকারী ৮ বছর থেকে অফিসে না এসে বেতন ভাতা ভোগের অভিযোগ

0 ৮৬৯

পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেলিম নামের একজন স্বাস্থ্য সহকারী প্রায় ৭ থেকে ৮ বছর পূর্বে যোগদানের পর থেকেই অফিসে না এসে বেতন ভাতা সহ সকল সুবিধা ভোগ করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দেখার যেন কেউ নেই। এ নিয়ে অন্য স্বাস্থ্য সহকারীদের মধ্যে দ্বিধাদন্দ চলছে, সেলিম না আসায় বর্তমানে অনেকেই অফিসে আসতে চায় না। বিষয়টি হাসপাতাল জেনে শুনে রহস্য জনক ভাবে নিরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য সহকারী পদ রয়েছে ২৪ টি। এরমধ্যে ১৮ জন কর্মরত আছেন। ৬টি পদ শুন্য রয়েছে।

 

তবে অভিযোগ রয়েছে, সেলিম এর গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ। এখানে আসার পর থেকেই তিনি রাজশাহী শহরে বসবাস করেন। তিনি সেখানে কোচিং ব্যবসা করেন বলে একটি সূত্র জানায়। কিন্তু তিনি কোন দিনই হাসপাতালে এবং তার কর্মরত এলাকায় আসেন না। কিন্তু রহস্য জনক ভাবে অফিস না করেই রাজশাহীতে বসে থেকেই ক্যাশিয়ার এর সাথে গোপন চুক্তির মাধ্যমে বেতন-ভাতাদি ভোগ করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

 

স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইনচার্জ মোঃ আব্দুস সালাম জানান, আমি এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় দুই বছর থেকে কর্মরত আছি। সম্প্রতি আমি স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইনচার্জ দায়িত্ব পালন করছি। তবে স্বাস্থ্য সহকারী সেলিম অফিসে আসেন না। তার কর্মরত এলাকা বানেশ্বর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে। তিনি ঠিকমত অফিসে না আসায় আমরা তাকে বার বার মৌখিক ভাবে অবগত করি। এর প্রেক্ষিতে মে মাসে ৫ তারিখে চিঠির মাধ্যেমে তাকে জানানো হয়েছে।

 

এ ব্যাপারে সেলিমের মোবাইল ফোন ০১৭১৬-৬৯৩৪৪৫ নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

 

আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান, আমি একমাস হলো আরএমও’র দায়িত্ব নিয়েছি। সেই বিষয়টি আমার জানা নাই। খোঁজ নিয়ে জানতে পেরিছি সেলিমের ভাই অসুস্থ্য থাকার কারণে সে কয়েকদিন অফিসে আসেনি। তবে এখন থেকে সে রেগুলার অসবে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.