পুঠিয়ায় কারেন্ট পোকার আক্রমনে কৃষকের সর্বনাশ

৩১৩

পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার অবহেলায়, কারেন্ট পোকা আমন ধানের ব্যপক ক্ষতি সাধন করছে। ফসল ঘরে তোলার আগেই শেষ সময়ে বিশেষ করে ৫২ জাতের ধানে দেখা দিয়েছে এই কীট। ইতোমধ্যে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, ট্যাগ অফিসার ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকার্তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে সৈয়দপুর, বিলামাড়িয়া ও বারোপাখিয়া গ্রামের কৃষকরা।

ঝাকে ঝাকে পোকা নষ্ট করছে ক্ষেতের ধান। লাল হয়ে মরে যাচ্ছে ধানের ক্ষেত। এমন অবস্থা রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় অগ্রাহয়নের নবান্নের উৎসব অম্লান করে দিয়েছে কারেন্ট পোকা।

রাজশাহীর পুঠিয়ায় আমন মৌসুমে ইতোমধ্যেই কৃষকের ঘরে আমন ধান উঠতে শুরু করেছে। বিভিন্ন জাতের ধান উপজেলায় ব্যাপক ভাবে আবাদ করেছে কৃষককুল। আমন ধানের আবাদ প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল। গ্রামের কৃষককুল ধারদেনা করে সারা বৎসরের সঞ্চয়ী অর্থ আমন ধানে বিনিয়োগ করে পাচ্ছনা কাঙ্খিত ফল। বিঘা প্রতি ধান রোপণ থেকে শুরু করে ধানের শীষ বের হওয়া পর্যন্ত প্রায় ১০-১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

ধানে রোগবালাই না হলে বাম্পার ফলন কৃষক প্রতি বিঘায় ১৫-২০ ধান ঘরে তুলতে পারত। আগাম জাতের ধানের জমিতে পোকামাকড় জন্য বালাইনাশক ঔষধ নিয়মিত প্রয়োগ করেও ধানের জমি থেকে পোকা দমন করতে পারেনি কৃষকরা। ধানে ফড়িং (কারেন্ট পোকা) দিনরাতের সাবাড় করছে কৃষকের ফসল।

রাজশাহীর পুঠিয়ায় চলতি রোপা আমন মৌসুমে উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের কৃষক তুফান আলী ও বারোপাখিয়া গ্রামের কৃষক ভূট্টো সহ অনেকে জানান, হঠাৎ করে জমিতে ক্যারেন্ট পোকা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি জানার পর স্থানীয় উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা, ব্লক সুপারভাইজার, উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ হাসমত আলী কোন রকম কর্নপাত করেননি। তারা কোন সময় মাঠে আসেন না। কৃষকদের সাথে তাদের কোন রুপ যোগযোগ নাই। মাঠে না আসায় মুলত কৃষকরা উপ-সহকারী কর্মকর্তা কে চেনেন না বলে জানান।

সৈয়দপুর গ্রামের তুফান আলী আরো জানান, আমার ২ বিঘা জমিতে ৫২ জাতের ধান লাগানো আছে। সেই ধানে কারেন্ট পোকার আক্রমনে ব্যপক ক্ষতি সাধন হয়েছে।

বারোপাখিয়া গ্রামের কৃষক ভূট্টো আরো জানান, আমার পৌনে ২ বিঘা জমিতে কারেন্ট পোকার আক্রমনে ব্যপক ক্ষতি সাধন হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ শামসুন্নাহার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনিকোন মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, আমি সরাসরি কথা বলবো। তিনি আরো বলেন, এই সমস্যা সাংবাদিকদের তৈরি।

পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ এর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Comments are closed.