পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি : চলতি রোপা-আমন মৌসুমে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার সর্বত্র কৃষি অফিসের মনিটরিং না থাকায় সারের বস্তা প্রতি ১ শত থেকে দের শত টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া দোকান গুলোতে সারের কোন মূল্য তালিকা ঝুলানো নাই। সার ক্রয় করলে রশিদও দিতে চায়না বলে জানান কৃষকরা।
জানা গেছে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলায় ৮ টি বিসিআইসি ডিলার রয়েছে। আর ১ টি বিসিআইসি ডিলারের আওতায় ১৩ জন সাব-ডিলার রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী দোকান গুলোতে সারের কোন মূল্য তালিকা ঝুলানো হবে। অথচ সরকারী নিয়মকে তোয়াক্কনা করে। মূল্য তালিকা না ঝুলিয়ে বেশি দামে সার বিক্রি করছে কিছু ডিলার সহ সাব-ডিলাররা।
উপজেলায় কৃষি অফিসের মনিটরিং না থাকায় ডিলার ও সাব ডিলারদের সাথে গোপন চুক্তি থাকার সুযোগে এক শ্রেণীর অসাধু ডিলার, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সারের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে কৃষকদের কাছে চড়া মূল্যে সার বিক্রি করছেন। যার কারণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বস্তা প্রতি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি মূল্যে সার বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার কয়েকজন কৃষক জানান, আমরা দেকানীর কাছে থেকে ইউরিয়া ৯ শত টাকা বস্তা, পটাশ ৮ শত টাকা বস্তা, টিএসপি ১২ শত ৫০ টাকা বস্তা, ডিএফপি ১৬ শত টাকা বস্তা দরে সার ক্রয় করেছি।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ইউরিয়া ৮ শত টাকা বস্তা, পটাশ ৭ শত ২০ টাকা বস্তা, টিএসপি ১১ শত টাকা বস্তা, ডিএফপি সাড়ে ১৫ শত টাকা বস্তা বিক্রি করার নিয়ম।
এ ব্যাপারে পুঠিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনজুর রহমান জানান, আমাদের উপজেলায় কোনো সারের সংকট নেই। তবে বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে গ্রাম পর্যায়ে কিছু দোকানী আছে তারা কৃষকদের কাছে বাকিতে সার বিক্রি করে। তাই তারা সারের দাম সামান্য কিছু বেশি নিতে পারে তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্তা নেওয়া হবে।#
Sign in
Sign in
Recover your password.
A password will be e-mailed to you.
Prev Post