পুলিশের প্রতি জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জিত হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
রবিবার (৫ জানুয়ারি) সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স প্রাঙ্গণে ৬ দিন ব্যাপী বার্ষিক পুলিশ প্যারেডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাস, মাদক, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি। পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে এগুলো মোকাবিলা করছে। বিশেষত জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। শুধু দেশে নয়, বিদেশেও এখন বাংলাদেশের পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।’
এসময় তিনি জাতীয় সম্পদ রক্ষার জন্য পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির সন্ত্রাসীদের অগ্নিসন্ত্রাসে তাদের হাতে ২৯ জন পুলিশ নিহত হয়েছিলেন। তখন পুলিশ বাহিনী অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তুলে দেশের জনগণের জানমাল রক্ষা করেছে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেছে।’
সন্ত্রাসের কারণে দেশের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা যেন কিছুতেই ব্যাহত না হয় সেদিকে পুলিশ বাহিনীকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। জাতির পিতা বলেছিলেন- ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সঙ্গে রাজারবাগ ও পুলিশের শহীদ হওয়ার ঘটনা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে’।’
এসময় তিনি জাতীয় জরুরি সেবায় হটলাইন নম্বর ৯৯৯-এর উদাহরণ টেনে জনগণের সেবা পাওয়ার কথা তুলে ধরেন। একইসঙ্গে ঘুষ-দুর্নীতির কোনও ধরনের প্রমাণ ছাড়াই সম্প্রতি সারা দেশে ১০ হাজার পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের বিষয়টিকে বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা বলেও উল্লেখ করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী সুশৃঙ্খল ও নয়নাভিরাম বার্ষিক পুলিশ প্যারেড পরিদর্শন ও বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট ও পতাকাবাহী দলের প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন।