পোল্ট্রি ফার্ম খাতে ধস! বগুড়ায় ১৫ দিনে ৩০ হাজার মুরগির মৃত্যু

0 ৮৪১

বগুড়া প্রতিনিধি: দেশব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমনের আতঙ্ক। চলমান পরিস্থিতির দুর্দিনে এবার পোল্ট্রি ফার্ম ব্যবসায় ধস্ নেমে আসছে। মুরগির মড়ক দেখা দিয়েছে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায়।

গত ১৫ দিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পোল্ট্রি ফার্মসহ গ্রামের বাড়িতে পোষা প্রায় ৩০ হাজার বড় ও ছোট মুরগি মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বাজারে প্রচলিত ওষুধ বা ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেও কোনো ফল মিলছে না। এতে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে পোল্ট্রি ফার্ম বা শেড মালিকরা।

আদমদিঘী উপজেলার ছাতনী গ্রামের মেসার্স তৃপ্তি ট্রেডার্স পোল্ট্রি মালিক নাহিদ সুলতানা তৃপ্তি জানায়, তার শেডে ব্রয়লার ও সোনালীসহ বিভিন্ন জাতের ২৭ হাজারের অধিক মুরগি রয়েছে।

এসব মুরগিগুলোতে প্রথমে জ্বর, শ্বাসকষ্ট, কাপুনি, গলার মধ্যে ঘড়ঘড়ানি শব্দ করার পর ঝিম ধরে থাকার ঘণ্টাখানিকের মধ্যেই মারা যাচ্ছে। বাজারে প্রচলিত কোনো ওষুধ বা ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেও কাজ হচ্ছে না। এভাবে গত ১৫ দিনে তার দুই দফায় ১ দিন হতে ৪০ দিন বয়সের ১৬ হাজার বড় ছোট মুরগি মারা যায়।

একইভাবে ধামাইল মুরগি শেডের মালিক রফিকুলের ১০ হাজার মুরগির মধ্যে ৪৫০টি মুরগি মারা যায়, একই গ্রামের বেলাল হোসেনের সেডের ৫ হাজার মুরগির মধ্যে ২ হাজারের অধিক মুরগি মারা যায়, বড়চাপড়ার ছাইফুল ইসলামের সেডের ৫ হাজার ২শ মুরগির মধ্যে মারা যায় ২ হাজার ৬ শ। এ ছাড়াও অন্যান্য মুরগি সেড ও গ্রামা লের দেশিসহ প্রভৃতিজাতের প্রায় ৩০ হাজার মুরগি মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, অত্র উপজেলায় প্রায় ৬৭টি মুরগি ফার্ম বা পোল্ট্রি খামার রয়েছে। মুরগিতে সাধারণত করোনা সংক্রমণ হয় না। মুরগি খামারে ক্রনিক রেসপাইটরি ডিজিস (সিআরডি) রোগে আক্রান্ত হয়ে মুরগি মারা যাচ্ছে। পোল্ট্রি মালিকদের মুরগি সুরক্ষায় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.