প্রেসিডেন্ট হিসেবে জাতিসংঘে শেষ ভাষণ জো বাইডেনের
বিডি সংবাদ 24ডটকম ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শেষবারের মতো জাতিসংঘের ভাষণে তার পররাষ্ট্রনীতি ঝালিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা করবেন। ইউক্রেন যুদ্ধ ও অস্থিতিশীল মধ্যপ্রাচ্যের মতো চ্যালেঞ্জের মধ্যেই গতকাল মঙ্গলবার ভাষণ দেয়ার কথা। এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক সময় দুপুর ২টায় ভাষণ দেয়ার কথা বাইডেরেন। এসময় তার প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য তুলে ধরবেন তিনি। পাশাপাশি ইউক্রেনকে সমর্থন জানাতে ও মধ্যপ্রাচ্যে কূটনৈতিক সমাধান নিশ্চিত করতে বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানাবেন প্রেসিডেন্ট। বাইডেন প্রশাসন প্রায় পুরো সময়ই ইউক্রেনে রুশ অভিযান, গত অক্টোবরে ইনরাইলে হামাসের হামলা, গাজায় ইনরাইলি বাহিনীর আগ্রাসনের মতো পররাষ্ট্র চ্যালেঞ্জের চাপে রয়েছে। এছাড়া, হামাস ও হিজবুল্লাহকে সমর্থন দেওয়া ইরান ও চীনকে সামলাতেও হিমশিম খাচ্ছে হোয়াইট হাউজ।
পেন্টাগন সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সতর্কতাস্বরূপ মধ্যপ্রাচ্যে তারা বাড়তি সেনাসদস্য প্রেরণ করবে। গাজা যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করণ প্রচেষ্টা ও ইনরাইল-হিজবুল্লাহ উত্তেজনার মাঝেই তারা এ সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। নিউইয়র্কে প্রেসিডেন্টের দুইদিন অবস্থানকালে এই বক্তৃতা আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে। মঙ্গলবার পরে আরেক ভাষণে জলবায়ু বিষয়ক ভাষণ দেবেন তিনি। আর বুধবারে ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট তো লামের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের।
রাশিয়া ও চীনের আধিপত্য হ্রাসে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে যথেষ্ট আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। এজন্যই ভিয়েতনাম তার আগ্রহের তালিকায় রয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেনের উত্তরসূরি ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস নাকি সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেবেন, তার ওপর ইউক্রেন, রাশিয়া, গাজা, ইরান, চীন সব চ্যালেঞ্জের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। বাইডেনের নেতৃত্বে ইউক্রেনের জন্য মার্কিন অস্ত্র সরবরাহে হাজার হাজার কোটি ডলার সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কিয়েভের পিছে ন্যাটো জোটের সমর্থন নিশ্চিতে কাজ করে গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়া দখল বজায় রাখায় এই যুদ্ধের সুবিধাজনক কোনও মোড় ঘোরাতে এখনও সফল হয়নি যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র: দৈনিক সংগ্রাম