বগুড়ায় ছেলের লাঠির আঘাতে মায়ের মৃত্যু

0 ১৮৭

তাজুল ইসলাম, সারিয়াকান্দি (বগুড়া) থেকে : বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে আব্দুল মোমিন নামের মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের লাঠির আঘাতে কাজুলী অরফে ময়না (৭০) বেগম নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১.৪০ ঘটিকায় বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত কাজুলী কুতুবপুর ইউনিয়নের শোলারতাইড় পূর্বপাড়া গ্রামের মরহুম ইজ্জত আলী প্রামানিকের মেয়ে এবং কুতুবপুর গ্রামের মরহুম সিদ্দিক হোসেনের স্ত্রী। শুক্রবার বিকেলে সুরুতহাল রিপোর্ট শেষে লাশ ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মায়ের মৃত্যুর খবর জানতে পেরে ঘাতক ছেলে ও নাতনি মোমেনা পলাতক রয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে দশ ঘটিকায় কুতুবপুর পশ্চিম পাড়া (নিউ কাজলা) এলাকায় আব্দুল মোমিন নিজ বাড়িতে পারিবারিক কলহের জেড়ে মেয়ে মোমেনা খাতুন (১৭) কে লাঠি দিয়ে আঘাত করতে যায়। বিষয়টি দেখতে পেয়ে কাজুলী নাতনিকে উদ্ধার করতে গেলে লাঠিটি মোমেনার মাথায় না লেগে তার মায়ের মাথায় সোজরে আঘাত করে।

পরে স্থানীয়রা তাকে গুরতর অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরদিন (শুক্রকার) সকাল ১১.৪০ মিনিটে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

কুতুবপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য আয়নাল হক এবং ৯নং ওয়ার্ড সদস্য ফরিদ উদ্দীন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বৃহস্পতিবার সকালে পারিবারিক কলেহের জেড়ে মোমিনের বাড়িতে অনাকাঙ্খীত ঘটনাটি ঘটে। পরে চিকিৎসার জন্য শজিমেকে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাজুলীর মৃত্যু হয়। হাসপাতালে তথ্য গোপন করার কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লাশ দাফনের জন্য ছাড়পত্র দেয়।

সহকারী পুলিশ সুপার গাবতলী (সার্কেল) নিয়াজ মেহেদী ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, যেহেতু ভিকটিমের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এজন্য লাশ ময়না তদন্তের জন্য শজিমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রির্পোট পেলে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সারিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী সহ সোঙ্গীয় ফোর্স।

Leave A Reply

Your email address will not be published.