বগুড়ায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীর গর্ভপাত, ভ্রুণ পুঁতে রাখার অভিযোগে মামলা

0 ১৭১

বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক নারীকে ধর্ষণ ও অবৈধ গর্ভপাতের পর ভ্রুণ মাটিতে পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পল্লী চিকিৎসক ফরহা হোসেন (৫৫) ও আসাদুল সেখকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ফরহাদ হোসেন ধুনট উপজেলার রুদ্রবাড়িয়া গ্রামের কেএম আবুল ফজলের ছেলে আর অপরজন পার্শ্ববর্তী হিজুলী গ্রামের গোলজার হোসেনের ছেলে আসাদুল সেখ (৪০)।

তবে পলিথিনে মোড়ানো ভ্রুণটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২২ বছর আগে উপজেলার সাগাটিয়া গ্রামের এক দিনমজুরের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মেয়ের (৩৫) পাশের গ্রামে বিয়ে হয়। তার গর্ভে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের প্রায় পাঁচ বছর পর তাকে ছেড়ে স্বামী নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। আর তার কন্যা সন্তান ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করে। ফলে প্রতিবন্ধী ওই নারী সাগাটিয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে একাই বসবাস করেন।

এ অবস্থায় পার্শ্ববর্তী হিজুলী গ্রামের গোলজার হোসেনের ছেলে আসাদুল সেখ (৪০) কয়েক মাস আগে ওই নারীকে বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়ার প্রলোভনে ধর্ষণ করে। এরপর থেকে প্রায়ই শারীরিক সম্পর্কে করে। এতে কোনো এক সময় নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে গোপনে পল্লী চিকিৎসক ফরহাদ হোসেনের চিকিৎসায় ২১ এপ্রিল সকালে ওই নারীকে তার নিজ বাড়িতে গর্ভপাত করানো হয়।

পরে ভ্রুণ ওই নারীর বাড়ির পাশে ঘাসের জমির মাটির নীচে পুতে রাখে আসাদুল সেখ। ঘটনাটি স্থানীয়দের মাঝে জানাজানি হয়। এক পর্যায়ে রবিবার(২৩ এপ্রিল) মধ্যরাতে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘাসের জমি থেকে নবজাতকের (ছেলে) মরদেহ উদ্ধার করে। একই সাথে পল্লী চিকিৎসক ফরহাদকে তার বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ আর আসাদুলকে সোমবার (২৪ এপ্রিল) রাতে আটক করে।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে সোমবার সকালে আসাদুল সেখ ও ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।

বগুড়ার ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, ওই মামলায় গ্রেফতার ফরহাদ হোসেন ও প্রধান আসামি আসাদুলকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মৃত ভ্রুণটি ময়না তদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.