তাজুল ইসলাম (সারিয়াকান্দি) বগুড়া প্রতিনিধিঃ বগুড়া-০১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী শাহাজাদী আলম লিপির নির্বাচনী প্রচারণা ও চাচক্র অফিসে অগ্নিসংযোগ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার দিবাগত রাতে সারিয়াকান্দির সদর ইউনিয়নের দেলুয়াবাড়ী এলাকায় অগ্নিকা-ের এ ঘটনা ঘটে। এতে নির্বাচনী সহিংসতার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। সেখান থেকে কেরোসিন তেলের বোতল জব্দ করেছেন থানা প্রশাসন। এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।
সরেজমিনে জানাগেছে, তারাজুল ইসলামের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩৫) এর মুদিদোকান সংলগ্ন স্বতন্ত্রপ্রার্থী শাহাজাদী আলম লিপির নির্বাচনী প্রচারণার জন্যে কয়েকফর্দ কাপড় ও বাঁশ দিয়ে ছাউনি টাঙিয়ে বসার ব্যবস্থা করা হয়। সোমবার রাতে অগ্নিসংযোগ ঘটিয়ে সটকে পরেন দুর্বৃত্তরা।
দেলুয়াবাড়ী এলাকার ধলুর ছেলে ও সমর্থক শামীম জানিয়েন, ১০ ডিসেম্বর শ্রমজীবী মানুষদের জন্যে তার উদ্যোগে অস্থায়ী অফিসটি নির্মাণ করা হয়। সোমবার দিবাগত রাতে কে বা কাহারা নির্বাচনী পরিস্থিতি ভিন্নপথে প্রবাহিত করতে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। রেজাউল করিম সুইট জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করে বাড়িতে চলে যান। পরদিন ভোরে জানতে পারেন অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনাটি জানতে পারেন তিনি। মুদি দোকানদার শহিদুল জানান, অল্পের জন্যে বড় ধরণের আশঙ্কা থেকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রক্ষা পেয়েছে। রফিজ উদ্দীন বলেন, ভোরে প্রতিবেশীদের মুখে সে স্বতন্ত্রপ্রার্থী অফিসে অগ্নিকা-ের ঘটনাটি জানতে পেরেছেন।
স্বতন্ত্রপ্রার্থী শাহাজাদী আলম লিপি জানিয়েছেন, তার জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে প্রতিপক্ষ শত্রুতাবসত অগ্নিকা-ের ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রবিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, সকালে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে পরিদর্শন করেছেন। দুপুরে সহকারী পুলিশ সুপার (গাবতলী সার্কেল) সার্কেল নিয়াজ মেহেদী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ আলী হোসেন জানান, প্রতিক বরাদ্ধের পূর্বে প্রারণা অফিস নির্মাণ করা ঠিক হয়নি।
সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তোহিদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সবুজ কুমার বসাক ও থানার অফিসার ইনচার্জসহ সরেজমিন পরিদর্শণ করা হয়েছে। যেকোনো স্থানে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটলে উপজেলা প্রশাসন করিদর্শন করে থাকে। প্রতিক বরাদ্দের আগে নির্বাচনী প্রচারণার অফিস করা ঠিক হয়নি এবং এর প্রতিকারে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি।