বগুড়া শেরপুরে মাদক ব্যবসা রুখতে মানববন্ধন

0 ২৩৫

বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরে মাদক সেবন -ব্যবসায়ী ও মাদকের ভয়াবহতা দিন দিন বেপরোয়া গতিতে বাড়ছে। তাইতো এসব নিষিদ্ধ পণ্যের ব্যবসা ও ব্যবসায়ীদের রুখতে সংঘবদ্ধ হয়ে উঠছে এলাকাবাসী। এর প্রতিকারে বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১ টায় উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের আম্বইল গ্রামে স্থানীয় বাজারে “সচেতন জনসাধারণ” এর ব্যানারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন তারা।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি রঘুনাথ শীল, আম্বইল গ্রামের আব্দুস সালাম, জসিম উদ্দিন বাচ্চু সুজন আলী প্রমূখ।

বক্তাদের অভিযোগ, উপজেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টি পল্লী আম্বইল বাগান পাড়া, গোরতাসহ আশপাশের এলাকায় মাদক ব্যবসার ভয়াবহতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারী বলে খ্যাত সন্তোষ সিং এর তত্বাবধানে চলছে গাঁজা ও ইয়াবার ব্যবসা। প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদকসেবীদের আনাগোনা চলে। এলাকায় মাদকের ভয়াবহতার সাথে স্থানীয় তরুণ ও যুবকেরাও আসক্ত হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় আ.লীগ নেতা রঘুনাথ শীল বলেন, ‘প্রায় ৫ বছর ধরে সন্তোষ সিং এই এলাকায় বীরদর্পে মাদকের ব্যবসা করে আসছেন। এছাড়াও স্থানীয় এলাকা ও আশেপাশে মাদক সরবরাহ করেন। খুব সহজেই মাদকদ্রব্য পাওয়ায় এলাকার বিভিন্ন বয়সের লোকজন আসক্ত হয়ে গেছে। এসব প্রকাশ্যে হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা ন্য়ো হচ্ছে না বলে তিনি দাবী করেন।

এ ছাড়াও সমাবেশে এলাকায় চিহ্নিত ওই মাদকের ব্যবসায়ীর সাথে থানা পুলিশের যোগসাজশ রয়েছে। এমনকি গাঁজা সহ আটক করে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগও করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বক্তারা।

আম্বইল গ্রামের সচেতন আব্দুস সালাম ও জসিম উদ্দিন বাচ্চু বলেন, ‘‘প্রায় ৬ মাস আগে শেরপুর থানার উপপরিদর্শক শফিকুল ইসলাম সন্তোষ সিং সহ কয়েকজনকে আটক করে। সে সময় তাদের কাছ থেকে ৭৫০ গ্রাম গাঁজা পাওয়া যায়। পরে তাদেরকে ১২ হাজার টাকার বিনিময়ে এর দফারফা করায় আইনী ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।”

এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, ওই ঘটনার দিনে আমরা কয়েকজন গাঁজা কেনার জন্য সন্তোষ সিংয়ের বাসায় গিয়েছিলাম। তখন গাঁজাসহ পুলিশের দারগা শফিকুল ইসলাম সন্তোষের সাথে আমাদেরকে আটক করেন। পরে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়। তবে আটক গাঁজাগুলো পুলিশ ও স্থানীয় চৌকিদার ভাগ করে নেয়।

অভিযোগ অস্বীকার করে সভাপতি সন্তোষ সিং বলেন, ‘‘মূলত এলাকার কিছু প্রতাপশালী ব্যক্তি আদিবাসীদের জমি দখল করার চেষ্টা করছে। আমরা প্রতিবাদ করায় এর আগেও তারা আমাদের উপর হামলা করেছে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের মোকাবেলায় আন্দোলন করছি। সেই আন্দোলন দমন করার জন্য তারা আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানিসহ অপবাদ দিচ্ছে।”

এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, ‘‘আমরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদক নির্মূলে তৎপর আছি। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Leave A Reply

Your email address will not be published.