বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে চলতি বছরের দু’ দফা বন্যায় বাড়িঘর প্লাবিত হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত বন্যার্তরা বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধের উপর আশ্রয় ও ঘরবাড়ি নির্মাণ করার ফলে সামাজিক বন বিভাগ শেরপুর অঞ্চলের আওতাধীন লাগানো ৮১ হাজার চারা গাছের মধ্যে প্রায় ৬৫ হাজার নষ্ট হয়েছে। এতে প্রায় দেড় কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছে বনবিভাগ ও উপকারভোগীরা।
জানা যায়, বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড(পাউবো) অধিদপ্তরের কর্তৃক জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর, চন্দনবাইশা ও কামালপুর ইউনিয়নে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ নির্মাণ করে। এ অঞ্চলে নির্মিত ওই বাঁধের উভয় পাশে সামাজিক বন বিভাগ শেরপুর অঞ্চলের আওতায় প্রায় ৪০ কিলোমিটার জুড়ে গত ২০১৬ ও ২০১৭ সালে পর্যায়ক্রমে প্রায় ৮১ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা ১০ বছর মেয়াদে লাগায়। এ বছর দু’দফা বন্যায় সারিয়াকান্দি উপজেলার মধ্যে ওই তিনটি ইউনিয়নের বন্যায় প্লাবিত জনসাধারণ তাদের বাড়িঘর প্লাবিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আশ্রয় নেয় বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের উপর। বাঁধের উপরে সাময়িক ঘর-বাড়ি নির্মান, চলাচল ও গৃহপালিত পশু’র রক্ষণাবেক্ষনে ওই বাঁধে উভয় পাশে সামাজিক বন বিভাগের লাগানো চারাগাছের প্রায় ৬৫ হাজার বিনষ্ট হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বন বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মহসিন আলী। এসব চারা গাছ নষ্টে সামাজিক বনবিভাগ, ও উপকারভোগীরা প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। এ ক্ষতি পুষিয়ে তুলতে বেশ কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সচেতনমহলেরা। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই বন্যা প্লাবিত এলাকাগুলোকে দূর্গত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
এ প্রসঙ্গে সামাজিক বনবিভাগ শেরপুর অঞ্চলের রেঞ্জ কর্মকর্তা আয়নাল হক জানান, দু’দফা বন্যায় প্লাবিত বন্যার্তরা ওই বাঁধের উপরে আশ্রয় নেয়ায় লাগানো চারা গাছগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। তবে ওই বাঁধে পুনরায় বনায়ন করতে এবং ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কয়েক বছর সময় লাগবে বলে দাবী করেন ওই কর্মকর্তা।
Sign in
Sign in
Recover your password.
A password will be e-mailed to you.