
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- পলাশ হোসেন একজন চিহ্নিত আন্তঃজেলা চোর চক্রের মূলহোতা। তার সহযোগী হিসেবে মোনাজাত হোসেন কাজ করতো। র্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোঃ শেখ সাদিক এর নেতৃত্বে গোবরচাপা বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় পলাশ ও মোনাজাত সাদিয়া হার্ডওয়্যার এন্ড ইলেকট্রিক দোকান থেকে মালামাল চুরি করে পালানোর সময় গোরবচাঁপা বাজারে অবস্থানরত লোকজন তাদেরকে হাতেনাতে আটক করে র্যাবের নিকট সোপর্দ করে। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি কর্ণার সেল, তিনটি ডিজিডাল ওয়েস্ট, সাতটি ফিটিং পাইপ, ১০টি পিভিসি ফিল্টার, চারটি লোকাল পাইপ, ১০টি ফাইবার সিলিং উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে, ভান্ডারপুর বাজারে জহুরুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, মানিক হোসেন ও হাসান আলী তাদের দোকানের নিজস্ব কম্পিউটার এর হার্ডডিস্ক এ অশ্লিল সিনেমা এবং গানের ভিডিও ক্লিপ আপলোড ব্যবসার পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি সংরক্ষণ করত। পরে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ইলেকট্রিক ডিভাইসের মাধ্যমে স্থানীয় কিশোর ও স্কুল পডুয়া ছাত্রদের কাছে পর্নোগ্রাফি ভিডিও সরবরাহ করত। গোয়েন্দা দল অশ্লিল সিনেমা ও গানের ভিডিও ক্লিপ আপলোড ব্যবসার পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি সরবরাহের বিষয়টি তদন্ত শুরু করে এবং তদন্তে এর সত্যতা পায়।
গোপন সংবাদে রাত ৯টায় ভান্ডারপুর বাজারে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-৫। এসময় ভান্ডারপুর বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পর্নো ব্যবসায়ীদেরকে আটক করে।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বদলগাছী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।