স্টাফ রিপোর্টার: বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরকে রাজশাহী তথা বাঙালি জাতির গর্বের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম, এমপি। তিনি বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরটিকে শুধু একটি জাদুঘর নয়, একইসঙ্গে এটিকে একটি গবেষণাকেন্দ্র হিসেবেও উল্লেখ করেন।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহী বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর প্রাঙ্গণে দুই দিনব্যাপী হেরিটেজ ফেস্টিভ্যাল এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি রাজশাহী অঞ্চলের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব উল্লেখ করেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, একটি দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানা যায়; সেই দেশের জাদুঘরের মাধ্যমে। যারা ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিচর্চায় কাজ করেন, জাদুঘরের মাধ্যমে ভবিষ্যতে তাদের মেধা ও জ্ঞানের পরিধি আরও বিকশিত হবে। নতুন প্রজন্মকে দেশের সঠিক ইতিহাস জানতে জাদুঘর পরিদর্শনের আহ্বান জানান তিনি।
রাজশাহী অঞ্চলের প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্য উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুধু বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর নয়; পুঠিয়া রাজবাড়ি, বাঘা শাহী মসজিদ, কিছু পুরাতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরসহ আরও অনেক কিছু এ অঞ্চলে আছে; যা রাজশাহীর ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে নিদর্শন হিসেবে স্বমহিমায় বহন করে চলেছে।
তিনি বলেন, ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালে সরকার জিআই পণ্যের বিষয়ে একটি আইন তৈরি করেছে এর ভিত্তিতে আমাদের জিআই পণ্যের তালিকা করা হচ্ছে, যেখানে রাজশাহী অঞ্চলের উৎপাদিত নানা ধরনের পণ্য সেরা অবস্থানে আছে। এ অঞ্চলে ১০০-র বেশি প্রজাতির আম আছে, এখানে নানা প্রকারের সিল্ক আছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারাহ কুক, ব্রিটিশ কাউন্সিলের কান্ট্রি ডিরেক্টর টম মিসোশিয়া।
উল্লেখ্য, আওয়ার শেয়ার্ড কালচারাল হেরিটেজ বা ‘অশ’ ব্রিটিশ কাউন্সিলের একটি তারুণ্যনির্ভর প্রোগ্রাম, যার লক্ষ্য যুক্তরাজ্য এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সংস্কৃতি ও ইতিহাসের আদান-প্রদানের মাধ্যমে এর নতুন দিক উন্মোচন করা। বাংলাদেশে বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরের সহায়তায় রাজশাহীর ঐতিহ্যকে কেন্দ্র করে এই প্রোগ্রামটি পরিচালনা করছে সিসিডি বাংলাদেশ এবং উড়ন্ত আর্টিস্ট কমিউনিটি।
এ উৎসবে প্রদর্শিত হবে গত দুবছর ধরে ব্রিটিশ কাউন্সিলের আয়োজনে ৩০ জন তরুণ-তরুণীর করা নানামুখী কাজ, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক আলোচনা, সঙ্গীতায়োজন, নৃত্য পরিবেশনা, নাটক, গম্ভীরা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, চিত্রকলা প্রদর্শনী, সৃজনশীল ওয়ার্কশপ ও রাজশাহীর নানা ঐতিহ্যবাহী জিনিস।