প্রেস বিজ্ঞপ্তি: বিএনপি’র আর হারানোর কিছু নাই। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। পিছানোর মত কোন জায়গা নাই। এখন বাঁচতে হলে বীরের মত বাঁচতে হবে। এই সরকার বাংলাদেশের জনগণকে একটি বিষাক্ত মাকড়শার জালের মধ্যে আটকে রেখেছে। দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষকে বাঁচাতে হলে এই জাল কেটে ফেলতে হবে। আর ই্ কোজ করতে হলে জীবন-মরন লড়াই ছাড়া সম্ভব হবেনা। প্রয়োজনে শহীদ হতে বলে রোববার বেলা ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজশাহী মহানগরীর বাটার মোড়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে মানবাধিকার লঙঘনের শিকাড় নেতাকর্মী ও নাগরিকদের পরিবারের স্বজনদের মানবন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, রাসিক সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু এই কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, এর অবৈধ সরকার একদিকে গণতন্ত্র ধ্বংস করে এক নায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে, অন্যদিকে নিত্যপন্যের মূল্যবৃদ্ধি কওে মানুষকে মহাবিপদে ফেলে দিয়েছে। তিনি তিনি ১৯৭১ সালে যে ভাবে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে এ দেশের জনগণ রুখে দাঁড়িয়েছিলো তেমনি করে এই বিনা ভোটের সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন বিএনপি বীরের দল। এই দল অন্যায়কে অন্যায় বলতেদ পারে। এই অন্যায়কারী সরকারের সাথে কোন আপোস নয় উল্লেখ করেন সরকারের নীল নক্সার নির্বাচন রুখে দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মিনু আরো বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। এ অবস্থায় তাঁর কিছু হলে সরকারকে দ্বায়ভার গ্রহন করতে হবে। শুধু তাই নয় চড়ামূল্যে খেসারত দিতে হবে। তিনি বলেন, প্রতিদিন বিএনপি ,অঙ্গ ওসহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিনা কারনে আটক করে কারাগারে নিচ্ছে। সেইসাথে হুমকী ধামকী দিয়ে আইন শৃংখলাবাহিনী টাকা আদায় করছে। শুধু তাই নয় অনেক সময় গুম কওে ফেলচে। ২৮ অক্টোবরের পওে থেকে এ পর্যন্ত রাজশাহীতে আঠার শত নেতাকর্মীকে বিনা কারনে আটক করে কারাগারে রেখেছে। সেইসাথে দেশব্যাপি ১৮৭জনকে গুম করেছে।
তিনি আরো বলেন, আইন শৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা মূল ব্যক্তিকে না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের আটক করে নিয়ে যাচ্ছে। বৃদ্ধ থেকে শুরু করে কোলের শিশুও রেহাই পাচ্ছেনা। আইন শৃংখলা বাহিনী এটাকে রুটিন ওয়ার্ক হিসেবে নিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, দেয়ালে পিট ঠেকে গেছে। বাঁচতে হলে লড়াই করেত হবে। আর এই লড়াইয়ে জীবন চলে গেলেও পিছু হটার পথ নাই। তিনি আরো বলেন, আগাশী ৭জানুয়ারী সরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘোষনা দিয়েচে। এর মধ্যে তপশিল ও মনোনয়নও দিয়ে দিয়েছে। এই পাতানো নির্বাচন দেশেল জনগণ মানেনা। নির্বাচনের দিন সেন্টারে সেন্টারে চার পা ওয়ালা জন্তু জানোয়ার ছাড়া আর কিছু যাবেনা।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি জনগণের দল। বিএনপি গণতন্ত্রের দল। এই দল সর্বদা মানুষের উন্নয়নের কথা বলে। অথচ এই সরকার জোর করে ক্ষমতায় থেকে দেশকে একটি তলাবিহিন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। দেশের মানুষ এখন কারাগারে রয়েছে। দেশের মানুষকে বাঁচাতে এবং গণতন্ত্র পূনরুদ্ধার করতে বিএনপি সহ সমমনা দলকে নিয়ে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এক দফা ঘোষনা দিয়ে সরকার পতনের ডাক দিয়েছে। যার ফল পাওয়া শুরু হয়ে গেছে। সরকার পতনের আন্দোলনে এভাবেই সবাইকে রাজপথে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এই নির্বাচন তপশিল বাতিল, নির্বাচন কমিশন ও অবৈধ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধিনে নির্বাচন করার লক্ষে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা আহ্বান জানান তিনি। সেইসাথে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপি স্থায়ী ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আটককৃত নেতাকর্মীদের নি:শর্ত মুক্তি দাবী করেন মিনু।
বিএনপি রাজশাহী মহানগর ও জেলার আয়োজনে মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি জাহান পান্না, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ^নাথ সরকার, মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, ও বজলুল হক মন্টু, রাজশাহী মহানগর জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আকতার হোসেন।
যুবদল রাজশাহী রাজশাহী মহানগরের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক শফিকুল আলম সমাপ্ত, সদস্য সচিব আকুল হোসেন মিঠু, মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রোকসানা বেগম টুকটুকি, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি এডভোকেট রওশন আরা পপি, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সকিনা খাতুন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি এডভোকটে সামসাদ বেগম মিতালী, সাধারণ সম্পাদক মহানগর শ্রমিক দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম পাখি, এডাভোকেট আবুল কাশেম, পারভেজ তৌফিক জাহেদী, রইসুল ইসলাম, জমসেদ আলী, শাহজাহান আলী ফাহিম, এনামুল হক, তারেক হোসেন, রিয়াজ উদ্দিন, সিফাত জেরিন তুলি ও হাবিবুর রহমান সহ বিভিন্ন জেলা ও মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।