প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ভূগর্ভস্থ সেচনালা বর্ধিতকরণের মাধ্যমে সেচ এলাকা ও দক্ষতা বৃদ্ধি এবং পরীক্ষামূলক ভাবে ডিপ সেচ পদ্ধতি প্রচলন (ইআইইসিডি) শীর্ষক প্রকল্প পরির্দশন করেছেন বিএমডিএ’র চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য বেগম আখতার জাহান।
রাজশাহী বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভা ও শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন তিনি।
এ সময় চেয়ারম্যান বেগম আখতার জাহান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা যেভাবে কৃষি খাতকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তা অতুলনীয়। আজ কৃষিতে বিপ্লব হওয়ার ফলে বাংলাদেশ অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। বরেন্দ্র অঞ্চলে কৃষিতে যে আমূল পরিবর্তন তা শেখ হাসিনার কারণে। তাই কৃষক ভাই-বোন আপনারা যারা এখানে উপস্থিত আছেন আপনারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সব সময় কাজ করে চলেছেন।তাই আপনাদের যেন ফসল ফলাতে কোন রকমের সমস্যা না হয় সেজন্য বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সবসময় নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছে।
বরেন্দ্র অঞ্চলে পানির সংকট নিরসনে ও পানি অপচয় রোধে জেলার ভবানীগঞ্জে ভূগর্ভস্থ সেচনালা বর্ধিত করণের মাধ্যমে সেচ এলাকা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে ৫০ থেকে ৬০ বিঘা অতিরিক্ত জমি সেচের আওতায় এসেছে। ফলে মানুষ ফসল উৎপাদন করতে সহজে পানি ব্যবহার করতে পারছেন। তাই আমি ও আমার বরেন্দ্র কর্মকর্তারা সবসময় আপনাদের পাশে ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
কৃষক নূরে আলম জানান, সরকারের এ প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা চাষাবাদ করে সুফল পাচ্ছি এবং লাভবান হচ্ছি। কারণ এতে সেচ খরচ নেই বললেই চলে। দ্রুত পানি সেচ ব্যবহার করে সবজি করলা, বেগুন ও ফুলকপি, ঢ্যাঁড়শ, হলুদ, শাক ও বিভিন্ন জাতের ধান আবাদ করছি। আগে সেচ সুবিধা না থাকার কারণে এই জমিগুলোয় ঠিকমতো আবাদ করা যেত না।
ইআইইসিডি প্রকল্প পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহীদুর রহমান জানান, রাজশাহী বাগমারা উপজেলায় ৮৫টি স্কিমে ৫০০ মিটার করে মোট ৪২,৫০০ মিটার ভূগর্ভস্থ পাইপনালা বর্ধিতকরণের ফলে ৫০ থেকে ৬০ বিঘা জমি এবছর অতিরিক্ত চাষাবাদের আওতায় এসেছে।
ইআইইসিডি প্রকল্পের সূত্রে জানা গেছে, ভূগর্ভস্থ সেচনালা বর্ধিতকরণের মাধ্যমে সেচ এলাকা ও দক্ষতা বৃদ্ধি এবং পরীক্ষামূলকভাবে ডিপ সেচ পদ্ধতি প্রচলন শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ১৬ টি জেলার ১২৫টি উপজেলার ৫০০ মিটার চল্লিশ হাজার ৫০০ টি গভীর নলকূপের পাইপ নালা বৃদ্ধি করা হবে। ৩২৯ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পের মেয়াদ হবে জুন ২০২২ থেকে জুন ২০২৬ পর্যন্ত যার মাধ্যেমে প্রায় ৪৫ হাজার হেক্টর জমির আবাদ বাড়বে।
পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএমডিএ নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল করিম, সরকারী প্রকৌশলী মোঃ শাহাদাত হোসেন বাঘমারা জোন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাহাত পারভেজ, উপ সহকারী প্রকৌশলী শামসুল আলম, সহ স্থানীয় কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন ।