‘বিএনপিকে এতো দুর্বল ভাববেন না’

0 ১,০৩৮

বিডি সংবাদ টোয়েন্টিফোর ডটকম : দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আন্দোলনে দূর্বল কিন্তু সমর্থনের দিক থেকে তাদের এতো দূর্বল ভাববেন না।

নারায়নগঞ্জের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, সেখানে বিএনপি প্রার্থী প্রায় ৯০ হাজার ভোট পেয়েছে। সমর্থনের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, সাংগঠনিকভাবে এলোমেলো দল নিয়ে আগামী নির্বাচনে যেতে চায় না আওয়ামী লীগ। সুশৃংখল দল হিসেবে রাজনৈতিকভাবে আগামী নির্বাচনের সবকিছু মোকাবিলা করে নির্বাচনে জয়লাভ করবো।

রোববার তেজগাঁও আওয়ামী লীগের আয়োজনে প্রস্তুতিমূলক কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আগামী ১০ই জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের জনসভা উপলক্ষ্যে ওই সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় শত্রু হলো তার জনপ্রিয়তা। বেশি জনপ্রিয় হলে তার শত্রু বাড়ে। নেত্রীর জনপ্রিয়তার ওপর আগাত করার ষড়যন্ত্র চলছে। এর আগেও একাধিকবার আঘাত করা হয়েছে। আল্লাহর রহমতে তিনি ঠিক আছেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগকেও শেখ হাসিনার মতো জনপ্রিয় করতে হবে। বিএনপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি সকল সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর প্লাটফর্ম। দলটি নির্বাচন,আন্দোলনে ব্যর্থ। তাদের ডাকে জনগণ সাড়া দেয় না। বিএনপি এখন পথহারা পথিক। তবে বিএনপিকে দূর্বল মনে করে তুচ্ছ,তাচ্ছিল্য ভেবে নির্বাচনে জিতে যাবো এই আত্মতুষ্টিতে ভোগা যাবে না। আন্দোলনে দূর্বল কিন্তু সমর্থনে বিএনপিকে এতো দূর্বল ভাববেন না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, কর্মীদের বলতে চাই মানুষের চোখের ভাষা মনের ভাষা বোঝার চেষ্টা করুন। এইদিন শেষ দিন নয়। সামনে আরও দিন আছে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জনগণের জন্যই রাজনীতি করি। তাই সেই জনগণকে কষ্ট দেয়া আমাদের ঠিক হবে না। মিছিল ও র‌্যালী করতে গিয়ে আমরা আমাদের ভোটারদের কষ্ট দিই। এটা ঠিক নয়। মিছিলের উত্তেজনায় জনগণকে কষ্ট দেয়া যাবে না। গাড়িতে বসে থাকা রোগী, বৃদ্ধ, বৃদ্ধারা অসহায় দৃষ্টিতে চেয়ে থাকেন। তাদের এ কষ্ট কি আপনাদের চোখে পড়ে না? ওদের জায়গায় আপনি থাকলে কি করতেন?

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা দেশের যে উন্নয়ন করেছেন তা বিশ্বের বিস্ময়। নেত্রীর এ অর্জন আচরণ খারাপ দিয়ে ম্লান করে দেবেন না। খারাপ আচরণ মানুষের মনে দাগ কাটে। এখন ক্ষমতায় আছেন জনগণ কিছু বলবে না। নির্বাচনের সময় তারা তাদের কথা জানাবে।

তিনি বলেন, আমার লক্ষ্য দলকে গোছানো। কর্মীদের সুশৃংখল করা। একদিকে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অন্যদিকে উন্নয়নের বাধা সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদকে মোকাবিলা করা। পাশাপাশি আগামী নির্বাচনের জন্য দলকে প্রস্তুত করা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, নগর নেতা শেখ বজলুর রহমান, এসএম মান্নান কচি,আজিজুল হক রানাসহ তেজগাঁও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

Leave A Reply

Your email address will not be published.