বিএনপি নৈরাজ্য করলে সমুচিত জবাব দেবো: কাদের
বিডি সংবাদ টোয়েন্টিফোর ডটকম: বিএনপি আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য করলে সমুচিত জবাব দেয়া হবে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল বলেছেন, ‘পরিষ্কার বলতে চাই, আন্দোলনের নামে সহিংসতা, নৈরাজ্য করলে আমরা সমুচিত জবাব দেবো।’ব্রেকিংনিউজ
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে মৎস্যজীবী লীগের জাতীয় সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলন গণতান্ত্রিক পথে করলে রাজনৈতিকভাবে আমরা মোকাবিলা করবো।’
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি মনে করেন সহিংসতা সৃষ্টি করে, দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করবেন, তাহলে আপনারা বোকার স্বর্গে আছেন।’
এসময় মৎস্যজীবী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আপনারা সবাই প্রস্তুত হয়ে যান, এখনও ষড়যন্ত্র চলছে। এখনও চক্রান্ত চলছে। শেখ হাসিনার জনপ্রিয় সরকারকে হঠানোর চক্রান্ত চলছে। এই চক্রান্ত রুখতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
খালেদা জিয়া মুক্তির বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রসঙ্গে আমরা বারবার বলেছি, আমরা তাঁকে জেলে নেইনি। আদালতের মামলার রায়ে তিনি জেলে আছেন। বিএনপি নেতাদের বলি- আপনারা আইনি লড়াই করে তাকে মুক্ত করুন। আমাদের সরকারের কোনও হস্তক্ষেপ নেই, থাকবেও না।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি আদালত মানে না, আইনের শাসন মানে না, বিচার মানে না, শালিস মানে না। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আদালতের ওপর চাপ দিতে সেখানে তারা ভাঙচুর করেছে। সেখানে তারা পুলিশের ওপরে হামলা করেছে। ইট- পাটকেল নিক্ষেপ করেছে। আদালত প্রাঙ্গণকে রণাঙ্গনে পরিণত করেছে। এরা ক্ষমতায় এলে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও স্বাধীন বিচারব্যবস্থা নিরাপদ নয়।’
সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এত উন্নয়ন, অর্জনের পরও বিএনপি ও তার দোসররা সরকারে উন্নয়ন দেখে না। তারা চোখে কালো চশমা পড়েছে। কালো চশমার ফাঁক দিয়ে তারা উন্নয়ন দেখতে পায় না। জনগণ তাদের চায় না। আন্দোলন করতে ব্যর্থ, নির্বাচনে ব্যর্থ তারা। এখন তাদের অবলম্বন হচ্ছে প্রেস ব্রিফিং, তাদের অবলম্ব হচ্ছে নালিশ। বিএনপি এখন ‘বাংলাদেশ নালিশ পার্টি’ হয়ে গেছে। এখন দেশে ঠাঁই না পেয়ে বিদেশিদের কাছে নালিশ দিচ্ছে।’
আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নতুন নেতৃত্ব প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংগঠনিক এই নেতা বলেন, ‘আমাদের সহযোগী সংগঠনের ক্লিন ইমেজের নেতৃত্ব দিয়েছি এ যাবত। যদি এর মধ্যে কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আসে নেত্রী বলে দিয়েছেন- কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে বাদ দিয়ে দিতে। কাজেই এবার সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। মাদক-সন্ত্রাস, জমি দখলের সঙ্গে, চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িতরা এ সংগঠনে থাকতে পারবে না। আমি স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, মৎস্যজীবী নেতার নামে যারা মৎস্যজীবীদের ওপরে ক্ষমতার দাপট দেখাবে তাদেরকে আমরা নেতৃত্বে রাখবো না।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী ও কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।