বিদ্রোহীদের ভবিষ্যত ‘খারাপ’, ইঙ্গিত কাদেরের

0 ৪০২

পৌরসভা নির্বাচন ঘিরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় জোর বাড়ছে। একইসঙ্গে পাল্লা বাড়ছে সংঘর্ষ ও সহিংসতাও। এরইমাঝে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে বাড়ছে বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা।

দলের সিদ্ধান্ত ও শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী সেই বিদ্রোহী প্রার্থীদের এবার সতর্ক করলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছেন তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের প্রতিও নেতিবাচক ইঙ্গিত করেছেন কাদের।

তিনি স্পষ্ট বলেছেন, ‘ যারা ইতোপূর্বে স্থানীয় সরকার বা অন্য কোনও নির্বাচনে দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, তাদের মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে না; হবেও না। যেসকল নেতা দলের সিদ্ধান্ত মানবেন না, তারা ভবিষ্যতে শুধু মনোনয়ন বঞ্চিতই হবে না, দলের গুরুত্বপূর্ণ কোনও পদও আর পাবেন না।’

তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে দলীয় সভাপতি ও আওয়ামী লীগের অবস্থান স্পষ্ট। যারা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন বা হচ্ছেন তাদের ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবার আর কোনও সুযোগ থাকবে না।’

বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) নিজ সরকারি বাসভবন থেকে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ভ্যাকসিন নিয়ে ‘অপরাজনীতির’ প্রয়াস দেশের ও কল্যাণকর প্রতিটি কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই এখন বিএনপির স্বভাবে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘করোনার শুরুতে যারা ব্যাপক অপপ্রচার চালিয়েছিলো, তারাই এখন নতুন করে অপপ্রচার শুরু করছে টিকা নিয়ে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশে করোনার সংক্রমণ রোধ, আক্রান্তদের চিকিৎসা, অসহায় মানুষের সুরক্ষা এবং জীবন-জীবিকা সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। মহান স্রষ্টার রহমতে ও প্রধানমন্ত্রীর মানবিক নেতৃত্বে আশঙ্কা অনুযায়ী ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘যদিও প্রতিটি মৃত্যু বেদনার, একটি মৃত্যুও কাম্য নয়। করোনার টিকা সরকার এতো ত্বরিতগতিতে ব্যবস্থা করতে সক্ষম হয়েছে বলেই বিএনপির আজ গাত্রদাহ হচ্ছে। সরকারের জননন্দিত কাজের প্রশংসা বিএনপির অভিধানে নেই।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি অন্ধ সমালোচনার বৃত্তেই আবর্তিত হতে থাকুক আর আত্মদহনে দগ্ধ হতে থাকুক। সরকার শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে করোনা পরিস্থিতি ব্যবস্থাপনার মতো টিকা সংগ্রহ এবং টিকা প্রদানের কার্যক্রমও স্বচ্ছতা ও সফলতার সাথে শেষ করবে, ইনশাআল্লাহ্।’

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কোনও কোনও দায়িত্বশীল নেতা ও জনপ্রতিনিধি দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মদদ দেয়ার অভিযোগ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের তাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘ভবিষ্যতে মনোনয়ন এবং গুরুত্বপূর্ণ পদ প্রাপ্তির জন্য সংশ্লিষ্টদের দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দলের শৃঙ্খলা ও স্বার্থ পরিপন্থি কর্মকাণ্ড থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। অন্যথায় এসকল সংগঠনবিরোধী কাজ ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।’

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে হুঁশিয়ারি করে দেন ওবায়দুল কাদের।

সড়কমন্ত্রী বলেন, ‘দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা দলের বিভিন্ন পর্যায়ের সাংগঠনিক সমস্যা নিরসনে ৮টি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের নির্দেশনার পাশাপাশি সর্বপর্যায়ে সম্মেলনের মাধ্যমে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি গঠনের কার্যক্রম শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন।’

কাদের বলেন, ‘কোনও কোনও পত্রিকায় বলা হয়েছে, দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে, একথা ঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে সাংগঠনিক কার্যক্রম সীমিত পর্যায়ে চলমান ছিলো। বর্তমানে দলের সভাপতি নতুন করে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদারের নির্দেশনা দিয়েছেন।’

Leave A Reply

Your email address will not be published.