নিয়ামতপুর(নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর নিয়ামতপুরে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপনের পর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুনীকে (১৯) শারীরিক সম্পর্ক স্হাপন করেন এক যুবক। ওই তরুনী প্রেমিক হৃদয় (২১) কে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে নানা টালবাহানা শুরু করে এবং মুখ না খোলার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। ভুক্তভোগী তরুনী থানায় মামলা দায়ের করলে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে। হৃদয় আত্রাই উপজেলার বড় সাওতাঁ গ্রামের মিশন আলীর ছেলে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, পড়াশোনার সুবাদে উভয়ের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। গত ১/০৪/২০২২ তারিখে ভুক্তভোগী তরুনী বাবার বাড়িতে আসলে প্রেমিক কৌশলে রাত ৯ টার দিকে তরুনীর ফুপুর ঘরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। তরুনীর চিৎকারে তার ফুপু ও গ্রাম সম্পর্কিত এক ভাবী এগিয়ে আসলে প্রেমিক হৃদয় কৌশলে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী তরুনী বলেন, রাজশাহীতে পড়াশুনার সুবাদে গত চার বছর আগে থেকে আমাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কুরুচিপূর্ণ ইঙ্গিত করলেও আমি রাজি ছিলাম না। কিন্তু ১/০৪/২০২২ তারিখে বাবার বাড়িতে আসলে সে আমাকে না জানিয়ে আমার গ্রামের বাড়িতে আসে। ফুপু বাসায় না থাকায় তাকে নিয়ে ফুপুর ঘরে প্রবেশ করলে সে আমাকে ধর্ষণ করে। আমার চিল্লাচিল্লিতে ফুপু ও ভাবি এগিয়ে আসলে হৃদয় পালিয়ে যায়।
নিয়ামতপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ভুক্তভোগী তরুনীর মামলার প্রেক্ষিতে শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে প্রেমিক হৃদয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
Comments are closed.