ব্যবসা ও উদ্ভাবিত পণ্য সুরক্ষায় রাজশাহী ডিপিডিটির কর্মশালা

0 ১১৬
স্টাফ রিপোর্টার: বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে রাজশাহী নগরীর একটি কনভেশন হলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি)- এর আয়োজনে ‘মেধাসম্পদ ব্যবস্থাপনা: ব্যবসা ও উদ্ভাবিত পণ্য সুরক্ষায় চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিপিডিটি’র মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিপিডিটি’র পরিচালক মো. রশিদুল মান্নাফ কবীর। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল সায়েন্স ল্যাবের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম, বিসিক জেলা কার্যালয় রাজশাহীর উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. রফিকুল ইসলাম এবং জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তাগণ বলেন, দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে মেধাসম্পদের যথাযথ ব্যবহারের লক্ষ্যে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। দেশের বৃহৎ, মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের উদ্যোক্তা এবং উদ্ভাবকগণ যাতে তাদের উদ্ভাবনী কার্যক্রমসমূহ নিবন্ধন ও এর অধিকার সংরক্ষণ করতে পারেন সে বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের মেধাসম্পদ সুরক্ষার লক্ষ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম অনলাইনে সম্পূর্ণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ডিপিডিটি। দ্রুতই তা বাস্তবায়িত হবে বলে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কর্মশালায় ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য নিয়েও আলোচনা করা হয়। এ সময় জানানো হয়, রাজশাহী সিল্ক, মিষ্টি পান, ফজলি আমসহ মোট ৪৩টি পণ্য ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে।
বক্তারা আরো জানান, ব্যবসা খাতের উৎপাদনশীলতা ও গুনগত মান বৃদ্ধির ক্ষমতাকে বলা হয় উন্নয়নের ইঞ্জিন। এই ইঞ্জিন কাজ করে উন্নত প্রযুক্তি ও দক্ষ শ্রমশক্তি এই দুইয়ের সমন্বয়ে। তবে প্রযুক্তির কার্যকারিতা নির্ভর করে তার প্রায়োগিক সাফল্যের উপর। এক্ষেত্রে আমাদের শ্রম, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, পণ্যের বৈচিত্রকরণ, পণ্য উৎপাদনের জন্য দক্ষতা বৃদ্ধি ও কাজের পরিবেশ উন্নয়নের বিকল্প নেই। উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি, উদ্ভাবন, কাজের পরিবেশ সৃষ্টি এবং শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক উন্নয়ন শুধু ব্যবসা খাতের উন্নয়নের জন্যই নয় বরং গোটা অর্থনীতির স্বার্থেই জরুরি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.