স্টাফ রিপোর্টার: ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের বহুমাত্রিক অবদানের কথা অনন্য ইতিহাসের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার। মন্ত্রী এ সময় মহান মুক্তিযুদ্ধে সার্বিক সহযোগিতার জন্য ভারতের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহীর স্থানীয় এক হোটেলে ‘ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ সেলিব্রেশন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ভারতের সহকারী হাইকমিশন, রাজশাহী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, প্রায় এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়ে, কখনও ওষুধ, কখনও খাদ্য কিংবা কখনও সেবার মাধ্যমে বুকভরা ভালবাসা দিয়ে ভারতের মানুষ যে ঋণের জালে আবদ্ধ করেছে, সে ভালোবাসা কোন দিন বাংলাদেশের মানুষ ভুলতে পারবে না। বন্ধুত্ব আর আস্থার জায়গা আরো শক্তিশালী করতে উভয় দেশই কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, একসময় ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। দুদেশের সম্পর্ক নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধীরা এখনও সে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেকারনে নতুন প্রজন্মকে প্রকৃত ইতিহাস জানাতে হবে। আর মুক্তিযোদ্ধারাই পারেন তাদের যুদ্ধকালীন স্মৃতিচারণার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানাতে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুদেশের সম্পর্কের উন্নয়ন হয়েছে, ভবিষ্যতে সম্পর্কের ভিত্তি আরও মজবুত হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। এসময় তিনি ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা দূর করে জনগণের সাথে জনগণের যোগাযোগ বৃদ্ধি, সংস্কৃতির বিনিময় ও বাণিজ্য ভারসাম্য আনার আহবান জানান।
সহকারী হাইকমিশনার বলেন, প্রতিটি ভালো কাজে ভারত বাংলাদেশকে সাথে রাখে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রতিবেশি দেশের সাথে থেকে স্বাধীনতা অর্জনে সাহায্য করেছে ভারতের জনগণ। দুই দেশের মানুষের ভাষা ও সংস্কৃতির মিল রয়েছে -যা দুই দেশের সম্পর্ককে করেছে মজবুত ও শক্তিশালী।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাজশাহীর ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো: আবু কালাম সিদ্দিক, বিশিষ্ট সমাজ সেবিকা শাহিন আক্তার রেনী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী বক্তব্য রাখেন।
পরে খাদ্যমন্ত্রী বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের পরিবেশিত এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
Comments are closed.