বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় শহরের মুক্তির মোড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হতে মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় সেখানে এসে মিলিত হয়।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নওগাঁর সভাপতি মনোয়ার হোসেন লিটনের সভাপতিত্বে এর আগে মুক্তির মোড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নওগাঁ শাখার সাধারণ সম্পাদক মাগফিরুল হাসানের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের উপদেষ্টা সাবেক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম খান, তেতুলিয়া বিএমসি কলেজের অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, শিক্ষক হাসমত আলি, সংগঠনের সহ-সভাপতি রহমান রায়হান বাহাদুর, উত্তম কুমার সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই সিদ্দিকী সিটুসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।
এসময় বক্তরা বলেন, ভাষা আন্দোলনের আদর্শ ও চেতনা নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নওগাঁ অঙ্গীকার পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে। ভাষার মাসকে বরণের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম যেন বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্যকে লালন করে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় কাজ করতে পারে।
ভাষা আন্দোলনের সকল বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সমাবেশ শেষে বর্ণমালা মিছিলটিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় দুই শতাধিক মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।
সমাবেশে বক্তারা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট নওগাঁর পক্ষে ৮দফা দাবী পেশ করেন, তাদের দাবীগুলো হলো- ‘সর্বস্তরে প্রমিত শুদ্ধ বাংলা বানান প্রতিষ্ঠা কর।’ ‘হাট-বাজার-দোকান- অফিস- প্রতিষ্ঠানসহ সবখানে ভুল বানান সর্বস্ব সাইনবোর্ড অপসারণ কর।’ ‘আদিবাসীসহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জাতিস্বত্বার নিজস্ব মাতৃভাষার সাংবিধানিক স্বীকৃতি নিশ্চিত কর।’ ‘উচ্চ আদালতসহ সর্বস্তরে বাংলা ভাষাকে বাধ্যতামূলক প্রতিষ্ঠা কর।’
‘স্কুল- কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসাসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলক শহীদ মিনার নির্মাণ কর।’ ‘দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রমিত শুদ্ধ বাংলা উচ্চারণের পাঠ চালু কর।’ ‘রেডিও, টেলিভিশনসহ সকল প্রচার মাধ্যমে বাংলা ভাষার বিকৃতি উচ্চারণ কঠোরভাবে দমন করতে হবে।’ ’সকল ভাষা সংগ্রামীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুতসহ রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রদান কর।’ এমন আটটি দাবীর মাধ্য দিয়ে সমাবেশ ও বর্ণমালা মিছিল শেষ হয়।