‘ভোট ডাকাত’ বিএনপি এখন ‘গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা’: কাদের

0 ২২১

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকার বিএনপির করা একতরফা নির্বাচনে মাঠপর্যায়ে কী ঘটেছিল, সেদিকে ইঙ্গিত করে বিএনপিকে ‘ভোট ডাকাত’ বলে আখ্যা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘ভোট ডাকাতির নির্বাচন করে বিএনপি এখন ‘গণতন্ত্রের ফেরিওয়ালা’ সেজেছে।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বেশিরভাগ দল ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বর্জন করেছিল। তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল বিএনপি ফ্রিডম পার্টিসহ কয়েকটি দল নিয়ে নির্বাচন করেও সেই বিএনপি সরকার মাত্র দেড় মাস স্থায়ী হয়েছিল। একপর্যায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন পাস করে নতুন নির্বাচন দিয়েছিল বিএনপি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয় লাভ করে ২১ বছর পর সরকার গঠন করেছিল শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ।

সেই নির্বাচন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৯৯৬ সালের এই দিনে ভোটারবিহীন নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন প্রহসন। সেই প্রহসনের নির্বাচন দেশের নির্বাচনী ইতিহাসের কলংকিত অধ্যায় হয়ে থাকবে।’

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রাসেল স্কয়ারে গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করার পর থেকেই সমস্ত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় জনগণের কাছে দেয়া ওয়াদা ভাঙতে শুরু করে। শত শহীদের রক্তের অক্ষরে লেখা তিন জোটের রূপরেখা বাস্তবায়নে কোনও পদক্ষেপ না নিয়ে বিএনপি শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানি করে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি দিনের আলোতে রাতের আঁধার দেখতে পায়, তাই তারা সরকারের কোনও উন্নয়ন ও অর্জন দেখতে পায় না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিলো জনগণের কাছে আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার। আর সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।’

শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে দলকে আরও ‘সুদৃঢ় ও ঐক্যবদ্ ‘ করার আহবান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের ঢাকা মহানগরের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ইঞ্জিন হচ্ছে ঢাকা মহানগর। তাই এই ইঞ্জিন সচল রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে।’

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে থানা পর্যায়ের সব কমিটি সম্মেলনের মাধ্যমে করার নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘ঘরে বসে কোনও কমিটি করা যাবে না। দলের ঐক্যে ফাটল ধরাতে ষড়যন্ত্র চলছে। তাই এখনই ভুলত্রুটি শুধরে আগামীর নবতর পথযাত্রায় এগিয়ে যেতে হবে।’

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.