মাহবুব তালুকদার জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত : ওবায়দুল কাদের

২১৯
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ সোমবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঢাকা মহানগর উত্তরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের সম্মেলনে বক্তব্য দেন। ছবি : সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার একটি দলের হয়ে যেভাবে রাজনৈতিক বক্তব‌্য দিয়ে যাচ্ছেন, তাতে মনে হয় ইসি নয় তিনি নিজেই জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত। আসলে তিনি কঠিন ও জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত। বর্তমান ইসির মূল সমস‌্যাই হচ্ছে মাহবুব তালুকদার নিজেই।’ আজ সোমবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির ঘরে এবং জোটে বিভক্ত দেখা দিয়েছে। দলটিতে এখন বিচ্ছেদের সুর বাজছে, নেতারা দল ছাড়ছেন। বিএনপির নিজের ঘরেই এখন বিচ্ছেদের সানাই বাজছে। একে একে নেতারা দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। বিএনপির ২০ দলীয় জোটেও ভাঙনের বিষাদ সুর। কাজেই বিএনপি নিজেরাই বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে। এখন শুনছি, সম্মেলন না করে কেন্দ্রীয় সম্মেলন করবে, ঘরে বসে কমিটি করবে। তাদের ঘরেই গণতন্ত্র নেই দেশে গণতন্ত্র কিভাবে করবে? আওয়ামী লীগের মতো গণতন্ত্রের চর্চা বিএনপিতে নেই।’

এ সময় বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে বিএনপি আন্দোলনের ডাক দিচ্ছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই আন্দোলনের ডাক দেন। তারা আমাদের চেয়ে ছয় ঘণ্টা পিছিয়ে আছে। কারণ আমাদের নেত্রী ভোর ৫টায় ঘুম থেকে ওঠেন। আর দুপুর ১২টার আগে বিএনপির কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না। বিবৃতি আসে গভীর রাতে। অন্ধকারে কাজ করতে এদের ভালো লাগে। কাজেই বিএনপি যতই সমালোচনা করুক, আমরা কাজ করে যাব। আজকে যারা সমালোচনা করছে, আমরা তাদের অন্ধ সমালোচনা ও অপপ্রচারের জবাব দেব আমাদের উন্নয়ন অর্জন দিয়ে। তোমরা সমালোচনা করো, আমরা কাজ দিয়ে জবাব দেব।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আগামী বছর আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া উন্নয়ন প্রকল্প পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল, মেট্রোরেল, বাস র‌্যাপিট ট্রানজিটের মতো মেগা প্রকল্প যখন একে একে উদ্বোধন হবে, তখন জনগণই বিএনপির সমালোচনার মুখ বন্ধ করে দেবে।’

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ভূমিদস‌্যু, চিহ্নিত মাদক ব‌্যবসায়ী- এমন বিতর্কিত অপকর্মকারীদের দলে ঠাঁই দেবেন না। নিজের লোক বাড়ানোর জন‌্য খারাপ লোকদের টেনে আনবেন না। এই খারাপ লোকেরা বসন্তের কোকিল। তাদের দলের দুঃসময়ে হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না। দলের দুঃসময় এলে দলের খাটি কর্মীরাই থাকবে। খারাপ লোকেরা-বিতর্কিত ওইসব লোকেরা থাকবে না। সেজন‌্য এই বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবেন। যতো ভালো মানুষ আওয়ামী লীগে আসবে, দল ততো শক্তিশালী হবে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগকে আরও আধুনিক, সুশৃঙ্খল, সুসংগঠিত, আরও স্মার্ট পার্টি হিসেবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস‌্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, সহসভাপতি সাদেক খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ২৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সলিমউল্লাহ সলু। সঞ্চালনা করেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন।

Comments are closed.