মোহনপুর প্রতিনিধি: রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনের পোস্টার সাঁটানোর জেরে আওয়ামী লীগের দুগ্রƒপের মধ্যে সংঘর্ষে একজন আহত। এসময় গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ দলীয় সমর্থিত কাপ পিরিচ প্রতিকের প্রার্থীর সমর্থক এবং মোটরসাইকেল প্রতিকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আখতারুজ্জামানের সমর্থকদের মধ্যে গত বুধবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এ সংঘর্ষ ঘটে।
ধুরইল ইউনিয়ন পরিষদের ভেতরে স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারুজ্জামানের লোকজন পোস্টার সাঁটাতে চান। এসময় সেখানে থাকা গ্রাম পুলিশের সদস্যরা তাদের বাহীরে পোস্টার সাটাঁতে বলেন। তারা ভেতরে পোস্টার সাঁটানোর চেষ্টা করলে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল হোসেনের সমর্ধকদের সাথে হাতাহাতি শুরু হয়। ঘটনার সময় মাইক্রোবাসের চাপায় মোতালেব হোসেন নামের একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন।
খবর পেয়ে মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তৌহিদুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দ্রƒত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং দুটি মাইক্রোবাস জব্দসহ ৭জনকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার ধুরইল ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে কাপ পিরিচ প্রতিকের পোস্টার এবং মোটরসাইকেল প্রতিকের ফেস্টুন দেখা যায়।
অন্যদিকে রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন এবং সংশ্লিষ্ট ধুরইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে জনসাধারণকে শান্ত থাকার আহব্বান করেন।
ধুরইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, ভোটের মাঠে সবাই পোস্টার লাগাবে এটায় নিয়ম। তবে শহর থেকে আসা ভাইয়েরা পরিষদ ভবনের মধ্যে পোস্টার লাগানোর চেষ্টা করে। এসময় গ্রামপুলিশরা বাধা দেয়। পরে তারা উত্তেজিত হলে স্থানীয় লোকজনদের সাধে ঝামেলা বাধে। আমি ফোনে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জনগণকে শান্ত থাকার অনুরোধ করি যেহেতু সকলেই আওয়ামী লীগের লোকজন।
এ ব্যাপারে মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় জনতার রোষানল থেকে দুটি মাইক্রেবাসসহ ৭ জনকে উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় কোনো পক্ষের অভিযোগ হয়নি। পরিবেশ শান্ত আছে।
Comments are closed.