মিয়ানমারের কাছে রাসায়নিক অস্ত্র থাকতে পারে: যুক্তরাষ্ট্র

0 ২৯৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গণহত্যা ও ধর্ষণের মাধ্যমে মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিতারিত করা মিয়ানমারের কাছে রাসায়নিক অস্ত্র থাকতে পারে বলে ধারণা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য কিছু তথ্য-উপাত্তও তুলে ধরেছে দেশটি।

সোমবার (২৬ নভেম্বর) দ্য হেগে রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থা ওপিসিডব্লুউ’র বার্ষিক সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি টমাস ডিন্যান্নো এ দাবি করেন।

প্যারিস ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম এএফপি এখবর দিয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘১৯৮০ এর দশকের রাসায়নিক অস্ত্র তাদের মজুদে থাকতে পারে। পূর্বে উৎপাদিত মাস্টার্ড গ্যাস মিয়ানমারের মজুদে এখনও থাকতে পারে।’

১৯৮০ সালে মিয়ানমার রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির কর্মসূচি হাতে নেয় বলে ওয়াশিংটনের কাছে তথ্য ছিল বলেও দাবি করেন টমাস ডিন্যান্নো।

২০১৫ সালে মিয়ানমার আনুষ্ঠানিকভাবে রাসায়নিক অস্ত্র সম্মেলনে (সিডব্লুসি) যোগ দিয়েছিলো। সেই সম্মেলনে রাসায়নিক অস্ত্রের উৎপাদন, মজুদ এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়।

প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছিল, ‘মিয়ানমার তার অতীতের রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচি সম্পর্কে জানাতে এবং সেগুলো নষ্ট করতে রাজি না হওয়ার সিডব্লুসির সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হতে পারছে না।’

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারেরও তথ্য রয়েছে। কিন্তু বারবারই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি অস্বীকার করেছে।

২০১৩ সালে একটি সংসদীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছিলো, পুলিশ দেশটির উত্তরাঞ্চলে একটি তামার খনিতে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ফসফরাস গ্যাস ব্যবহার করেছিলো। ওই বছরে মিয়ানমারের তৎকালীন আধা-বেসামরিক সরকার দেশের উত্তরাঞ্চলে সংঘর্ষ চলাকালে কাচিন বিদ্রোহীদের ওপর রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহারও অস্বীকার করে।

২০১৪ সালের জুলাইয়ে মিয়ানমারের পাঁচজন সাংবাদিককে সামরিক বাহিনী রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদন করার প্রতিবেদন তৈরির অভিযোগে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছিলো।

২০০৫ সালে লন্ডন-ভিত্তিক ক্রিশ্চিয়ান সলিডারিটি ওয়ার্ল্ডওয়াইড অভিযোগ করেছিলো যে সাবেক সামরিক জান্তারা কারেন বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.